রোজ বিকেল থেকে স্টার জলসা, জি বাংলা (Zee Bangla) সহ প্রত্যেকটি বিনোদনমূলক চ্যানেলে একাধিক সিরিয়ালের সম্প্রচার হয়। এর মধ্যে কিছু সিরিয়াল (Serial) পাকাপাকিভাবে দর্শকদের ড্রয়িংরুমের অংশ হয়ে উঠতে পারে, কিছু সিরিয়াল আবার ব্যর্থ হয়। জি বাংলার ‘রাঙা বউ’ (Ranga Bou) ধারাবাহিকটি যেমন খুব কম সময়ের মধ্যেই দর্শকদের মনে স্থান অর্জন করে নিয়েছে।
‘রাঙা বউ’ সিরিয়ালের মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছেন ‘ত্রিনয়নী’ জুটি অর্থাৎ গৌরব রায়চৌধুরী এবং শ্রুতি দাস (Shruti Das)। গৌরবকে ছোট পর্দায় দেখা গেলেও, বহুদিন পর ফের টেলিভিশনের পর্দায় কামব্যাক করছেন শ্রুতি। তাই স্বাভাবিকভাবেই তাঁর ভক্তদের কাছে এটি একটি বিশেষ পাওয়া। শ্রুতি-গৌরবের এই ধারবাহিক শুরু থেকেই চর্চার কেন্দ্রেও রয়েছে।
যদিও বেশিরভাগ সময় ট্রোলডই হতে হয় পাখি (Pakhi) এবং কুশকে। কখনও বৌভাতের রাতে পাখিকে ভূত সাজানো নিয়ে, কখনও আবার কুশের ভুলে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে- শুরু হওয়ার পর থেকে নানান কারণে হাসির খোরাক হয়েছে ‘রাঙা বউ’। সম্প্রতি যেমন আবার পাখির ইংরেজি পড়ার বহর দেখে হাসির রোল উঠেছে নেটপাড়ায়।
‘রাঙা বউ’য়ের নিয়মিত দর্শকরা জানেন, গ্রামের মেয়ে পাখি খুব একটা পড়াশোনা জানে না। আসলে সে খুব বেশি পড়াশোনা করার সুযোগটাই পায়নি। ছোটবেলা থেকে মামা এবং মামির কাছে লাথি ঝাঁটা খেয়েই সে বড় হয়েছে। তাই স্বাভাবিকভাবেই সড়গড়ভাবে ইংরেজিও পড়তে পারে না সে।
সম্প্রতি আবার ‘রাঙা বউ’য়ের পর্বে দেখানো হয়েছে, পরীক্ষায় পাশ না করতে পারার জন্য পাখির ননদের মন বেশ খারাপ। সেই জন্য তাঁর মন ভালো করার জন্য খানিক ইচ্ছা করেই হাস্যকরভাবে ইংরেজি পড়ে শোনায় সে। ‘সুপার ওম্যান’ পাখির কাছে এসে হয়ে যায় ‘সুপুরি উইমুই’। ব্যস, সেই দৃশ্য দেখার পর থেকেই হাসি থামা দায় হয়ে পড়েছে দর্শকদের।
তবে বারবার নেটপাড়ায় ট্রোলড হলেও, ‘রাঙা বউ’য়ের জনপ্রিয়তা কিন্তু দেখার মতো। শুরু থেকে টিআরপি তালিকায় প্রথম দশের মধ্যে নিজেদের স্থান ধরে রেখেছে গৌরব-শ্রুতির ধারাবাহিক। মাঝেমধ্যে আবার প্রথম পাঁচের মধ্যেও উঠে এসেছে। মাঝেমধ্যে আবার পাখি-কুশের রসায়ন ‘ত্রিনয়নী’র স্মৃতিও উস্কে দিচ্ছে। সব মিলিয়ে ‘রাঙা বউ’ যে সুপারহিট তা আর আলাদা করে বলে দিতে হয় না।