বাংলা ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম চর্চিত একজন প্রযোজক (Producer) হলেন রানা সরকার (Rana Sarkar)। রাজনীতি হোক কিংবা বিনোদন নানা বিষয়ে মাঝেমধ্যেই বিতর্কিত মন্তব্য করে শিরোনামে উঠে আসেন এই জনপ্রিয় প্রযোজক। বরাবরই মনের কথা মুখেই থাকে তার। যার জেরে নিন্দুকরা তাকে ‘ঠোঁট কাটা’ স্বভাবের বলে কটাক্ষ করে থাকেন। নিজের মতামত ব্যক্ত করতে গিয়ে এভাবেই বহুবার বিতর্কে জড়িয়েছেন এই প্রযোজক।
ইতিপূর্বে ‘চিনেবাদাম’ সিনেমা বিতর্কে টলিউড অভিনেতা যশ দাশগুপ্ত কিংবা টলিউডের ইন্ডাস্ট্রি বলে পরিচিত প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের নাম করে কটাক্ষ করে একাধিকবার শিরোনামে এসেছেন এই অভিনেতা। প্রসঙ্গত সাউথ ইন্ডাস্ট্রিতে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের (Bankimchandra Chatterjee) উপন্যাস ‘আনন্দমঠ’ (Anandamath) অবলম্বনে সিনেমা তৈরি হচ্ছে। এই খবর রীতিমতো শোরগোল ফেলে দিয়েছে গোটা দেশে।
তাই প্রশ্ন উঠছে বাংলার সাহিত্য ভান্ডার থেকে মনি মানিক্য নিয়ে সাউথ ইন্ডাস্ট্রি সিনেমা তৈরি করলেও বাংলায় এমন সিনেমা কেউ তৈরি করছে না কেন? সম্প্রতি এ প্রসঙ্গেই নিজের মতামত দিতে গিয়ে আরও একবার বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসলেন প্রযোজক রানা সরকার। এ প্রসঙ্গে তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন বাংলায় এমন কোন অভিনেতাই নেই যাকে নিয়ে সিনেমা তৈরি করলেন তার সিনেমা সারা দেশের দর্শক দেখবেন।
তার কথায় বাংলায় সর্বভারতীয় কোন তারকাই নেই। এই বিষয়টাকেই ব্যাঙ্গের সুরে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে তিনি লিখেছেন ‘ধরুন বাংলায় ‘আনন্দমঠ’ সিনেমা বানানো হবে ঠিক করা হলো। অন্য পাঁচটা ভাষায় ডাবিং করে সারা দেশে রিলিজ করা হবেও ঠিক হলো’। এরপরেই প্রযোজক মশাইয়ের প্রশ্ন ‘বাংলায় কোন নায়ক বা অভিনেতা আছে যাকে নিয়ে সিনেমা বানিয়ে পাঁচটা ভাষায় ডাবিং করে সারা ভারতবর্ষের দর্শক দেখবে?’
শুধু তাই নয় এরপরেই দক্ষিণের অভিনেতাদের উদাহরণ টেনে এনে রানা সরকার স্পষ্ট লিখেছেন ‘দক্ষিণে প্রভাস আছে, আল্লু অর্জুন আছে, রামচরণ আরো দশজন নায়ক আছে, যাদের ডাবিং করা ছবি দেখার জন্যও সারা দেশের দর্শক এখন অপেক্ষা করে। তাই বাংলার দর্শকদের কাছে তিনি প্রশ্ন করেন ‘বাংলায় কে আছে এমন যাকে সারা দেশের দর্শক দেখতে চায় ?নাম বলুন আর,ভাবুন, ভাবা প্র্যাকটিস করুন’।
প্রযোজক রানা সরকারের এই পোস্টের কমেন্ট সেকশনে তাকেই উল্টে কটাক্ষ করে একজন নেটিজেন লিখেছেন ‘আপনি যাদের প্রচার করছেন তারাই আছে। প্রতীক আর সোনামণি। একজন বাংলার আল্লু অর্জুন আর অন্যজন রশ্মিকা মান্দানা’। আবার একজন তার দিকেই পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে লিখেছেন ‘বাংলার বঙ্কিমচন্দ্রের আনন্দ মঠ তৈরি হবে দক্ষিণী মুভিতে, তাহলে আপনারা কি করছেন ?’