রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব হলেন স্বয়ং নারায়ণের অবতার। তার চরিত্রে অভিনয় করা যে কোনো ভক্তের কাছে স্বপ্ন পূরণের সমান। ব্যাতিক্রম নন পর্দার অর্থাৎ করুণাময়ী রানি রাসমণির (Karunamiyi Rani Rashmoni) রামকৃষ্ণ চরিত্রের অভিনেতা সৌরভ সাহার (Sourav Saha) কাছেও। ইতিপূর্বে সেকথা নিজের মুখেই একাধিকবার জানিয়েছেন অভিনেতা। রামকৃষ্ণের (Ramkrishna) চরিত্রে দুর্দান্ত অভিনয় করে ইতিমধ্যেই দর্শকদের থেকে অনেক ভালোবাসা পেয়েছেন অভিনেতা।
আর দর্শকদের এই নিঃস্বার্থ ভালোবাসায় অভিভূত সৌরভ। সম্প্রতি এপ্রসঙ্গে অভিনেতা নিজের মনের কথা জানিয়ে লিখেছেন ‘পর্দায় শ্রীরামকৃষ্ণের চরিত্রে যে মানুষ আমায় গ্রহণ করেছেন, যে ভাষাহীন আবেগের স্পর্শ আমি রোজ পাচ্ছি তাতে আমি মানুষের থেকে তার থেকেও অনেক বেশি কৃতজ্ঞ ঠাকুরের কাছে।’ প্রসঙ্গত এখানে ঠাকুর বলতে সৌরভ যে স্বয়ং রামকৃষ্ণের কথাই বলেছেন তা নিয়ে আলাদা করে বলার প্রয়োজন হয় না।
দীর্ঘ ৫ বছর ধরে এই চরিত্রের সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে রয়েছেন সৌরভ। সেই অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে সম্প্রতি সৌরভ জানিয়েছেন ‘ এই ধারাবাহিকের মূল চারটি চরিত্র হিসেবে যাঁদের ধরা হয়, অর্থাৎ রানি, রাজ চন্দ্র, মথুর ও শ্রীরামকৃষ্ণ, এর মধ্যে গল্প শুরু হওয়ার আগে প্রথম সিলেক্ট করা হয় আমাকে। এটা যে আমার কাছে কত বড় পাওনা তা কেবল আমিই জানি।’
তাই সৌরভ জানিয়েছেন প্রায় পাঁচ বছর ধরে তিনি লালন করে চলেছেন এই চরিত্রটা। তবে রামকৃষ্ণ মিশনে পড়ার সুবাদে ঠাকুর ও তাঁর এই জীবন দর্শনের সঙ্গে সৌরভের হাতেখড়ি হয়েছিল ছোটবেলাতেই। ঠাকুরের ওই জীবন দর্শন নিয়ে নিয়মিত পড়াশোনা করে সৌরভের উপলব্ধি ‘আমার চোখে রামকৃষ্ণদেব কোনও বিজ্ঞানীর থেকে কম নন, যিনি সব দেখে সব জেনে তবেই পথ খুলে নেন নিজের মনে।’
জানা যায় ছোটবেলাতেই রামকৃষ্ণ মিশনে পড়ার পাশাপাশি অভিনেতার পরিবারও রামকৃষ্ণ মিশনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তাই বাড়িতেও একই জীবন দর্শন দেখে বড়ো হয়েছেন অভিনেতা। ফলে ঠাকুরের ওই জীবন দর্শন সৌরভকে কেউ শিখিয়ে দেয়নি ওটা তার আমার কাছে রোজনামচার মতোই। এ প্রসঙ্গে সৌরভ বলেছেন ‘শ্রী রামকৃষ্ণদেবের স্কুলে পড়ার সৌভাগ্যর জন্য আমারও এমন অনেক অভ্যাস তৈরি হয়ে গিয়েছে যা হয়তো আমৃত্যু আমার সঙ্গে রয়ে যাবে।’