ইতিমধ্যেই দেশের বুকে আঁছড়ে পড়েছে করোনার তৃতীয় ঢেউ। গত দুই ওয়েভে হেলে পড়েছিল বিনোদন ব্যবসা। দিনের পর দিন তালা বন্ধ ছিল সিনেমা হল গুলি। সেই গ্রাস কাটিয়ে সবে মাত্র খুলেছিল সিনেমা হল, তারমধ্যেই আবার বাড়বাড়ন্ত শুরু হল করোনা এবং ওমিক্রনের। সারা দেশের মধ্যে মহারাষ্ট্রে করোনা গ্রাফ সবচেয়ে উর্ধ্বমুখী। তাই ফের রাজ্য গুলিতে লাগু হয়েছে করোনা বিধি।
এদিকে আগামী ৭ জানুয়ারি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল এস এস রাজামৌলির ছবি ‘আরআরআর’ (RRR)। কিন্তু করোনার থাবায় ফের পিছোলো এই ছবির মুক্তি, এর আগেও বহুদিন ধরেই এই ছবির মুক্তি আটকে রয়েছে। এর জেরে বক্স অফিসে প্রতিযোগিতায় নামার আগেই বিরাট ক্ষতির মুখে পড়তে হল প্রযোজকদের৷
রাম চরণ, জুনিয়র এনটিআর, অজয় দেবগণ এবং আলিয়া ভাটদের মতো তারকা নিয়ে তৈরি এই ছবির প্রচারও চলছিল জোরকদমে৷ আর এই প্রচারের কাজেই প্রায় ১৮ থেকে ২০ কোটি টাকা বেরিয়ে গিয়েছে। রাম চরণ এবং জুনিয়র এনটিআরের অনুরাগীদের অন্ধ্রপ্রদেশের বাইরে বিভিন্ন প্রচারানুষ্ঠানে নিয়ে যেতে খরচ করা হয়েছে ২-৩ কোটি টাকা। কিন্তু মুক্তি পেছোনোয় সেই প্রচারও কার্যত ব্যর্থ।
সম্প্রতি বিগবস থেকে শুরু করে কপিল শর্মা, কেবিসির মতো শোতেও একে একে প্রচারে আসছিলেন RRR এর তারকারা। রাম চরণ এবং জুনিয়র এনটিআর মূলত দক্ষিণের অভিনেতা। তাদের গোটা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চেনাতেই অসংখ্য অনুরাগী সহ তারকাদের প্রচারে নিয়ে যাচ্ছিলেন গোটা টিম। সেই অনুরাগীদের কাজ বলতে দুই তারকার জন্য গলা ফাটানো এবং হাততালি দেওয়া। কিন্তু শেষমেশ সবই গেল বৃথা।
সূত্রের খবর পরিচালক প্রযোজকদের মতোই ভেঙে পড়েছেন রামচরণ, জুনিয়র এনটিআরও। এত কষ্ট করে কাজ করার পর যখন তা বৃথা যায় সেই দুঃখ দেখা যায়না। এই কারণেই খুব ভেঙে পড়েছেন দক্ষিণের এই দুই তারকা, সূত্রের খবর কারোর সাথে দেখা পর্যন্ত করছেন না।