একটা সময় ছিল যখন বিনোদন জগতে একাধিপত্ব ছিল বলিউডের। কিন্তু সেই যুগ এখন অতীত হয়ে গিয়েছে। গতবছর থেকে এবছর পর্যন্ত একেবারে শনির দশা চলছে বলিউডে। অন্যদিকে বক্স অফিসে বুক ফুলিয়ে দর্শকদের মন জিতে নিচ্ছে একেরপর এক দক্ষিণী ছবি। পুষ্পা থেকে কেজিএফ, আরআরআর এর মত ছবির যায় ছাড়িয়েছে ১০০০ কোটি। যে কারণে রামচরণ তেজা, জুনিয়ার এনটিআর, যশ এর মত তারকাদের জনপ্রিয়তাও রীতিমত আকাশ ছুঁয়েছে।
২০২২ সালে বক্স অফিসে ব্যাপক সাফল্য পাওয়া ছবির মধ্যে অন্যতম আরআরআর। যেখানে রামচরণ তেজা ও জুনিয়ার এনটিআরকে দেখা গিয়েছে। অবশ্য ছবিতে বলিতারকাদেরও দেখা মিলেছে, অজয় দেবগন থেকে আলিয়া ভাট অভিনয় করেছেন এই ছবিতে। আজ আপনাদের জন্য দক্ষিণী সুপারস্টার রামচরণ সম্পর্কেই কিছু তথ্য তুলে ধরব। সাথে জানাবো অভিনেতার করা একটি মন্তব্য যেটা গোটা দেশবাসীর মন জিতে নিয়েছে।
বর্তমানে দক্ষিণী তারকা হিসাবে খ্যাতি লাভ করলেও বলিউডের হাত ধরেই প্রথম সিনেমায় আসেন রামচরণ। ২০১৩ সালে ‘জঞ্জির’ হল তাঁর প্রথম ছবি। যেখানে দেশি গার্ল প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার সাথে জুটি বেঁধেছিলেন তিনি। তবে প্রথম ছবিটি বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছিল। এই ছিল বলিউডে শুরু ও শেষ, এরপর থেকে আরও কোনো হিন্দি ছবিতে কাজ করেননি রামচরণ।
কিন্তু কেন কাজের শুরুতে বলিউডে থাকলেও আজ আর হিন্দি ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে চান না তিনি? এক সাক্ষাৎকারে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল অভিনেতাকে। তখন তিনি জানান, একজন শিল্পীর ভালো স্ক্রিপ্ট এর সিনেমা বাছাই করাটা খুবই জরুরি। ভালো সুযোগ পেলে অবশ্যই কাজ করব। তাছাড়া চলচ্চিত্র আসলে একটা শিল্প আর প্রতিটা সিনেমা কোনো ইন্ডাস্ট্রি নয় বরং ভারতের দর্শকদের জন্যই তৈরি হয়।
এখানেই শেষ হয়, কিছুদিন আগে এক সাক্ষাৎকারে রামচরণের করা মন্তব্য আবারও মন ছুঁয়ে গিয়েছে দর্শকদের। রামচরণ বলেন, একটা সিনেমাকে বলিউড, টলিউড ককিংবা হলিউডের সিনেমা বলার দিন এখন আর নেই। দেশে একটাই ইন্ডাস্ট্রি থাকা উচিত, সেটা হল চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি। দর্শকদের বিনোদন দেওয়াই উদ্দেশ্য হওয়া উচিত কোনো ভেদাভেদ ছাড়াই।
প্রসঙ্গত, দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির ছবি থেকে রিমেক করেই কার্যত বলিউড চলছে। কিন্তু এই মডেল খুব বেশিদিন আর চলবে না বলেই জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। কারণ এখন ওটিটি বা ডিজিটাল প্লাটফর্ম চলে আসার পর একই প্রায় সকলেই দক্ষিণী ছবি ফেলে ফেলতে পারেন। তাই সেটার হিন্দি রিমেক হলে দেখার আকর্ষণটাই আর থাকে না।