“সে এক রূপকথারই দেশ, ফাগুন সেথায় হয়না কভু শেষ “, হ্যাঁ রাজকুমার রাও (Rajkumar rao) আর বঙ্গতনয়া পত্রলেখা পালের (Patralekha paul) বিয়েটাকে রূপকথা বললেও ভুল হয়না। এই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়া সম্পর্ক আর বিবাহ বিচ্ছেদের যুগে এই রাজকুমার আর রাজকন্যে দীর্ঘ ১১ বছর হাত ছাড়েননি একে অপরের। গত ১৫ ই নভেম্বর চন্ডীগড়ের বিলাসবহুল ‘ওবেরয় সুখবিলাস’ রিসোর্টে সাত পাকে বাঁধা পড়েন বাংলার রাজকন্যে পত্রলেখা আর রাজকুমার।
সব্যসাচীর ডিজাইন করা পত্রলেখার শাড়ি আর চোলির অভিনবত্ব গত দুদিন ট্রেন্ড করেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যতই চন্ডীগড়ের বিলাসবহুল রিসর্টে বিয়ে হোক, রাজকুমার রাওয়ের মতো বলিউডের তাবড় অভিনেতা যতই বর হোক না কেন, তিনি যে বঙ্গ তনয়া। পত্রলেখার বিয়ের ভেল বা ওড়নায় বাংলা হরফে লেখাছিল, ‘আমার পরাণ ভরা ভালোবাসা আমি তোমায় সমর্পণ করিলাম।’
তাই স্বভাবতই রিসেপশনেও পত্রলেখার সাজ দেখবার জন্য কার্যত মুখিয়ে ছিলেন নেটবাসী। কিন্তু সেসব আশায় কার্যত জল ঢেলে দিলেন তিনি। পত্রলেখার রিসেপশনের সাজে নতুনত্ব তো কিছুই নেই, বরং নেটিজেনদের একাংশের মত দীপিকার সাজ হুবুহু কপি করেছেন তিনি।
২০১৮ সালের নভেম্বরেই বিয়ে সেরেছিলেন রণবীর-দীপিকা। সব্যসাচীর ডিজাইনে দীপিকার পরনে ছিল সোনালি সিল্কের শাড়ির সঙ্গে লম্বা হাতা ব্লাউজ। টেনে বাঁধা চুল। সিঁথিতে চওড়া সিঁদুর। লাল টিপ, সবুজ রঙা হার, কান-চাপা দুল। ঠিক তিন বছর পর, পত্রলেখার রিসেপশনের সাজেও দীপিকারই প্রতিচ্ছবি খুঁজে পেলেন সকলেই।
পত্রলেখার পরনেও সোনালি সিল্কের শাড়ি। লম্বা হাতা ব্লাউজ। টেনে বাঁধা চুলের সিঁথিতে মোটা করে সিঁদুরের টান। কপালে লাল টিপ, গলায় সবুজ রঙের হার। কান-চাপা দুল। তবে দীপিকা পরেছিলেন সাদা ব্লাউজ, আর পত্রলেখা সোনালি।