ঠিক ১৪ বছর আগে আজকেরই দিনে মুক্তি পেয়েছিল ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ (Chirodini Tumi Je Amar)। রাজ চক্রবর্তী পরিচালিত সেই ছবির হাত ধরে টলিউড পেয়েছিল নতুন নায়ক-নায়িকাকে। সুপারহিট এই ছবি করেই রাতারাতি সুপারস্টার হয়ে গিয়েছিলেন অভিনেতা রাহুল অরুণোদয় ব্যানার্জি (Rahul Banerjee)। তবে শুধুমাত্র নতুন নায়ক-নায়িকাই নয়, এই ছবির মাধ্যমে ডেবিউ হয়েছিল খোদ পরিচালকেরও।
তবে রাজ (Raj Chakraborty) পরিচালিত ছবির মাধ্যমে সুপারস্টার হলেও, এরপর পরিচালকের আর কোনও সিনেমায় অভিনয় করেননি রাহুল। এত বছর পর অবশেষে সেই সিদ্ধান্তের কারণ ফাঁস করলেন অভিনেতা নিজেই। সম্প্রতি এক নামী সংবাদমাধ্যমের তরফ থেকে রাহুলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি আর কোনোদিন রাজের সঙ্গে কাজ করতে চাই না। এর থেকে বড় পাওনা আমার কাছে সত্যিই আর কিছু নেই’। এই সিদ্ধান্তের নেপথ্যের কারণও জানিয়েছিলেন তিনি।
‘চিরদিনই তুমি যে আমার’এর মাধ্যমে রাহুল-প্রিয়াঙ্কার যখন টলিউড ডেবিউ হয় তখন তাঁদের বয়স মাত্র ১৭ এবং ২১ বছর ছিল। সেই সুপারহিট ছবির গল্প থেকে শুরু করে গান হয়ে, নায়িক-নায়িকার রসায়ন- সবই এখনও দর্শকদের মনে গেঁথে রয়েছে। ‘উহ লা লা’ থেকে শুরু করে ‘বাতাসে গুনগুন’- এখনও প্রায়ই দর্শকদের এই গানগুলি গুনগুন করতে শোনা যায়।
তবে সুপারহিট এই ছবির পর থেকেই রাজের সঙ্গে রাহুলের সম্পর্কের অবনতি হয়। পরিচালকের ওপর বেজায় ক্ষোভ, অভিমান, রাগ জমা হয় টলিপাড়ার এই নায়কের মনে। সম্প্রতি করণ জানিয়ে রাহুল বলেছেন, ‘ভালো ছবির নোংরা দিক নিয়ে আমি কথা বলতে চাই না। নবাগত অভিনেতা হিসেবে আমার কাজের অভিজ্ঞতা খুব খারাপ ছিল। আমরা একে অপরের সঙ্গে আর কাজ করতে চাই না। ছবি রিলিজ হওয়ার এক মাসের মধ্যে আমার এবং আমার ও প্রিয়াঙ্কার সম্পর্কে অনেক খারাপ কথা বলেছিল রাজ’।
অভিনেতার অভিযোগ, ‘প্রেম আমার ছবিটি আমার জন্যই লেখা হয়েছিল। কিন্তু রাজ আমায় সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। তাতে যদিও আমার কিছু যায় আসে না। প্রেম আমার করলে তৃণমূল বিধায়ক হতাম! যা আমি কোনোদিন হতে চাই না। আমি যা ছিলাম, চিরকাল সেটাই থাকতাম’।
তবে ডেবিউ সিনেমা নিয়ে রাহুলের যে শুধুই খারাপ স্মৃতি রয়েছে তা নয়। অভিনেতার বেশ কিছু ভালো স্মৃতিও রয়েছে। সেই বিষয়েও মুখ খুলেছেন তিনি। রাহুল বলেন, ‘ফিরে তাকালে সত্যিই অনেক কিছু মনে পড়ে। কত ছোট ছিলাম আমরা। আর এখন ভাবনা চিন্তাই পালটে গিয়েছে। চিরদিনের সময়ই কিন্তু আমার আর প্রিয়াঙ্কার সম্পর্কটা পরিপূর্ণ হয়েছিল, এই স্মৃতি আমার সঙ্গে চিরদিন থাকবে। আবার এই ছবির রিলিজ হওয়ার পর প্রায় হাজার খানের জুটি পালিয়ে বিয়ে করে। সোজা ভাষায় বলতে গেলে, পালিয়ে বিএয় করা জুটিগুলির কাছে আমরা অনুপ্রেরণা হয়ে দাঁড়িয়েছিলাম’।