‘চিরদিনি তুমি যে আমার’ ছবির সেই জনপ্রিয় জুটি রাহুল ব্যানার্জি (Rahul Banerjee) এবং প্রিয়াঙ্কা সরকার (Priyanka Sarkar) বাস্তব জীবনে চিরদিন একসাথে থাকতে পারেননি। প্রেমের শুরুটা জমাটিই হয়েছিল। প্রেম থেকে বিয়ে, বিয়ের পর তাদের একমাত্র সন্তান সহজ। কিন্তু তবু শেষ রক্ষা হয়নি বহু বছর হল আলাদা থাকছেন রাহুল, প্রিয়াঙ্কা। আইনি বিচ্ছেদ না হলেও রাহুলের জীবনে এখন প্রিয়াঙ্কা প্রাক্তনই।
তবুও তাকে নিয়ে অদ্ভুত অদ্ভুত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয় রাহুলকে। সম্প্রতিও ঘটে গিয়েছে এমনই এক ঘটনা৷ হঠাৎই রাহুলের কাছে একটি অচেনা নম্বর থেকে ফোন আসে, এবং তাকে সেই ব্যক্তি জিজ্ঞাসাও করেন ‘দাদা, প্রিয়াঙ্কাদিকে পাওয়া যাবে?’ এহেন আবদার শুনে ক্ষোভে ফেটে পড়েন ‘দেশের মাটি’র রাজা ওরফে রাহুল।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘটনা সম্পর্কে জানাতেই শোরগোল পড়ে যায় নেট পাড়ায়। রাহুল লেখেন, ‘সম্প্রতি রাজর্ষি দে-র ছবির জন্য পোস্টার শুট করতে গিয়ে একজন ফটোগ্রাফার এর সাথে আলাপ হয়,যার নাম শান্তনু কর্মকার।..সে ফটোশুট এর জন্য উত্সাহ দেখায়, আমি ফটোশুট একেবারেই পছন্দ করি না, নেহাত কাজের জন্য যতটুকু লাগে,ততটুকুই…কিন্তু আজকাল ইনস্টাগ্রাম করছি বলে রাজি হই। ভাবি ছেলেটির উপকার হবে,আমারও কিছু ছবি তোলা হবে। কালকে ছেলেটি ফোন করে আমায় বলে ‘দাদা,প্রিয়াঙ্কাদিকে পাওয়া যাবে? তাহলে একটা শাড়ী শ্যুট করতাম.’।
এই ঘটনার পরেই বিরক্ত হয়ে রাহুল আরও লেখেন, তিনি বলেন, ‘আমার আর প্রিয়াঙ্কার ছাড়াছাড়ি হয়েছে আধ দশক হয়ে গিয়েছে। যা সবারই জানা। আর যদি একসঙ্গে থাকতামও তাহলেও ‘নবাব কিনলে আরাম ফ্রি’-তে বিশ্বাসী নই আমি। প্রত্যেকেই নিজের যোগ্যতায় জায়গা করেছি। স্বাভাবিকভাবেই এরকম একটি নির্বোধের সঙ্গে কাজ করা সম্ভব নয়’। একথা জানিয়ে রাহুল আরও বলেন, যদি কেবল তার সাথে কেউ কাজ করতে ইচ্ছুক হন তবেই যেন তাকে যোগাযোগ করা হয়।
তার পোস্টে উত্তম কুমারের নাতবউ অভিনেত্রী দেবলীনা কুমার মন্তব্য করে সহমত পোষণ করেছেন, তার বক্তব্য দুঃখের কথা আর কী বলি! আমরা যেন সবাই প্যাকেজে আসি।’ রাহুলের অপর সহ-অভিনেত্রী রূপাঞ্জনা লিখেছেন, প্রস্তাব শুনে প্রথম প্রতিক্রিয়া কী হতে পারে, সেটা তিনি নিশ্চিত জানেন। কবি শ্রীজাত বলছেন, ,’দুটো মানুষ আলাদাই, সে তারা একসঙ্গে থাকুক আর না থাকুক। এই স্বাতন্ত্র্যের বোধ আমাদের কবে হবে কে জানে।’