হাতে রয়েছে আর মাত্র ১২ ঘণ্টা। রাত পোহালেই নিভে যাবে জীবনপ্রদীপ। জীবনের শেষ সকাল, শেষ বিকেল, শেষ রাতটায় ঠিক কেমন লাগে? এই অনুভূতিগুলো বুঝতেই টানা ১৫ দিন চুপ ছিলেন অভিনেতা রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায় (Rahul Banerjee)। সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ‘মৃত্যুপথযাত্রী’ (Mrityupothojatri) ছবির জন্যই এই কাজ করেছেন তিনি।
১০ জুন মুক্তি পাওয়া এই ছবিতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক বন্দির চরিত্রে অভিনয় করেছেন রাহুল। একজন ব্যক্তি যিনি জানেন আর কয়েক ঘণ্টা পর তাঁর মৃত্যু হবে, সেই সময় তাঁর মনের ভেতর কী চলছে তা বুঝতেই টানা ১৫ দিন চুপ ছিলেন অভিনেতা। সেই সময় ছেলে সহজের সঙ্গে কথা বলা ছাড়া যেটুকু কথা না বললেই নয় ঠিক সেটুকু কথাই বলতেন রাহুল। নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম থেকেও।
রাহুলের (Rahul Banerjee) কথায়, এই চরিত্রটি করতে গিয়ে তাঁর মাথায় দু’টি বিষয় ঘুরছিল। এক, তাঁর চরিত্রটি এমন এক মানুষের যে এমন এক অপরাধ করেছেন যাকে বাঁচিয়ে রাখা যায় না। তাই সরকারের কাছে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না। সেই কষ্ট তিনি ছুঁতে পারছিলেন। অপরদিকে আবার নিজের প্রেমিকাকে বিয়ে না করতে পাড়ার আগে ৭ জন ব্যক্তিকে খুন করতে পারে যে ব্যক্তি তাঁকে বাঁচিয়ে রাখাও তো যায় না। সেই বিষয়টিও অভিনেতার মাথায় ঘুরছিল।
‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ ছবি খ্যাত অভিনেতা যে ছবির জন্য এত পরিশ্রম করেছেন, সেই ছবি পর্দায় সফল হয়নি। রাহুল এই বিষয়ে বলেন, ‘খুব ভালোবেসে পরিশ্রম করে এই ছবি বানিয়েছি। এটি একটি পরীক্ষামূলক ছবি। আমি কিংবা পরিচালক- আমরা কেউই আশা করিনি ছবিটি বিশাল জনপ্রিয় হবে। কিন্তু যেটুকু আশা করেছিলাম দর্শক দেখবেন, সেটুকু দেখলে আমাদের ভালোলাগত’।
প্রেক্ষাগৃহে সফল না হলেও, রাহুল এবার ওটিটি’র দিকে তাকিয়ে। অভিনেতার কথায়, ‘কিছু ছবি পর্দায় ভালো চলে না, কিন্তু পরে ওটিটি’তে ভালো চলে। সেটিও হতে পারে’। এবার দেখার ওটিটি’র মঞ্চে এসে রাহুলের ‘মৃত্যুপথযাত্রী’ সাফল্য পায় কিনা।