একে একে টলিউডের অভিনেত্রীদের মৃত্যুর খবর রীতিমত আলোড়ন ফেলে দিয়েছে বিনোদন জগতে। প্রথমে পল্লবী দে (Pallavi Dey), তারপর বিদিশা দে মজুমদার (Bidisha Dey Majumder)। আর আজ সকালে তারই ঘনিষ্ঠ বান্ধবী মঞ্জুষা নিয়োগীর (Manjusha Neogi) ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল বাড়ি থেকেই। প্রতিটা ক্ষেত্রেই একইভাবে ঘটেছে মৃত্যু, তবে কি সবার নেপথ্যের কারণ এক? তদন্তে সকলের সাথেই একটা মিল অবশ্য আছে সেটা হল মানসিক অবসাদ।
সম্প্রতি পরপর হতে থাকা অভিনেত্রীদের মৃত্যু নিয়ে নিজের মন্তব্য রাখলেন অভিনেতা রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায় (Rahul Arunodoy Banerjee)। এদিন তাকে এভাবে একেরপর এক তিন অভিনেত্রীর মৃত্যু কি শুধুমাত্র মানসিক অবসাদের কারণেই হচ্ছে জানতে চাওয়া হয়। যার উত্তরে প্রথমেই এমন ঘটনা যে খুবই দুঃখজনক সেটা জানিয়েছেন তিনি। সাথে ইন্ডাস্ট্রির অভিনেত্রীদের মৃত্যুতে দুঃখ প্রকাশ করেছেন তিনি।
তবে রাহুলের মতে, ‘মানসিক দৃঢ়তার যেমন প্রয়োজন তেমনি মন ও তো থাকে! দুটোর একসাথে সহাবস্থান বেশ কঠিন। কারণ নরম মনে মানুষ হলেও ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকতে হলে মানসিক ভাবে দৃঢ় হওয়াটা খুবই প্রয়োজন। এরপর আত্মহত্যার কারণ প্রসঙ্গে বলেন, আমি সত্যিই জানি না ঠিক কেন এমন হচ্ছে। প্রত্যেকের আত্মহত্যার পিছনে কারণ ভিন্ন হতে পারে। তবে এটা খুবই দুঃখজনক যে মানসিক অবসাদের চিকিৎসা আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে বাধ্যতামূলক নয়’।
অভিনেতার নিজের অভিজ্ঞতায় এক দুর্ঘটনা হয়েছিল। ‘তুমি আসবে বলেই’ সিরিয়ালে রাহুল ও অভিনেত্রী দিশা গঙ্গোপাধ্যায় একসাথে কাজ করছিলেন। কিত্নু সিরিয়াল চলাকালীন হটাৎই একদিন দিশার আত্মহত্যার খবর আসে। অথচ যেদিন আত্মহত্যা করেন তার আগের দিনেও দিব্যি স্বাভাবিক ছিলেন, রাহুল ক্যান্ডিক্রাশ এর একটি লেভেলে আটকে গেছিলেন সেটাও পেরোতে সাহায্য করেছিলেন তিনি।
এদিনের কথা বলতে গিয়ে অভিনেতা আরও বেশ কিছু কথা তুলে ধরেন। যেমন, বর্তমানে অনেকেই কলকাতার বাইরে থেকে কলকাতা শহরে এসে থাকছে নিজের অভিনয়ের প্যাশনকে পেশা করে তোলার তাগিদে। এতে কাজের সুবিধা হচ্ছে ও ঠিক কাজও বটে, তবে দিনের শেষে মা বাবার কাছে যেমন সমস্ত কথা, খারাপ লাগা, ভালো লাগা, শেয়ার করে নেওয়া যায় সেটা আর করা যায় না। এটা খুবই খারাপ একটা দিক, মা-বাবার সাথে কথা বলতে পারলে অন্তত এমন চরম সিদ্ধান্তগুলো নেওয়ার থেকে বিরত থাকার রাস্তা পাওয়া অনেকটা সহজ হত।