প্রাণ খোলা হাসিতেই বাংলার দিদি নম্বর ওয়ান রচনা ব্যানার্জি। দীর্ঘিদিন রূপোলি পর্দায় দাপিয়ে অভিনয় করলেও বর্তমানে টেলিভিশনের হাত ধরেই জনপ্রিয়তার শিখরে রচনা। এবার সেই রচনাই নিজের প্রেম জীবন নিয়ে করে ফেললেন কিছু অকপট স্বীকারোক্তি। যা নিয়ে সাড়া পড়ে গিয়েছে টলি পাড়ায়। জুড়ে গিয়েছে বাংলার বেতাজ বাদশা প্রসেনজিত চট্টোপাধ্যায় ওরফে বুম্বাদার নাম।
তবে আসল ঘটনা জানতে গেলে ফিরে যেতে হবে পুরনো দিনে।২০১৭ সালে টেলিভিশনের পর্দায় শুরু হয়েছিল শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় সঞ্চালিত শো অপুর সংসার। কিন্তু জানুয়ারিতে শুরু হয়ে জুনেই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল এই শো। সম্প্রতি সেই শোয়ের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা নিয়েই চলছে চর্চা। সেখানেই নিজের প্রেম জীবন নিয়ে একাধিক অকপট স্বীকারোক্তি করতে দেখা গিয়েছে রচনাকে। ওই অনুষ্ঠানের ভিডিওতেই দেখা যাচ্ছে ব্যক্তিগত জীবন-ক্যারিয়ার নিয়ে রচনাকে একাধিক খোলামেলা প্রশ্ন করেন শাশ্বত।

শাশ্বতর চাঁচাছোলা প্রশ্নের জবাবে রচনা খানিক অস্বস্তি বোধ করলেও রীতিমতো পেশাদারি কায়দায় বাউন্সার ট্যাকেল করতে দেখা গিয়েছে তাঁকেও। এউ শোতেই প্রসেনজিত সম্পর্কে শাশ্বতর প্রশ্নের জবাবে রচনা বলেন, “প্রসেনজিৎ অর্থাৎ বুম্বাদার সঙ্গে ৩৫টা ছবিতে অভিনয় করেছি। কিন্তু কখনও একবারের জন্যও আমার সঙ্গে একটু প্রেম করল না। আরে এরকম তো ভাবতেই পারত, রচনা সুন্দর দেখতে, রোমান্টিক মানুষ। একটু প্রেম করি বা প্রেমের কথা বলি? কিন্তু কোথায় কি। ওই সিনেমাতে নায়ক-নায়িকা হয়ে কেটে গেল।” তাঁর এই উত্তর শুনে হাসিতে ফেটে পড়েন সেটে উপস্থিত দর্শকেরা।
অন্যদিকে যীশু সেনগুপ্ত, কাঞ্চন মল্লিকদের নিয়েও একাধিক মজার মজার মন্তব্য করতে দেখা যায় তাঁকে। এমনকি যীশুকে গাধা বলেও ডাকেন রচনা। যা শুনে ভিরমি খাওয়ার জোগাড় সকলের। অন্যদিকে রচনার উপমা থেকে বাদ পড়েননি খোদ সঞ্চালক শাশ্বতও। তাকে দেশি মুরগি বলে ডাকেন রচনা। যা নিয়েও ওঠে হাসির রোল। অন্যদিকে রচনার ভাষায় প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় নাকি আদপে টলিউডের শিয়াল পন্ডিত। নিজের বক্তব্যের সপক্ষে যুক্তিও দেন তিনি। রচনার দাবি তিনি ভীষণরকম বুদ্ধিমান, তবে ভিতুও বটে। আর সেই কারণেই এই তুলনা।














