
বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির প্রথম সারির অভিনেত্রীদের মধ্যে অন্যতম হলেন রচনা ব্যানার্জি (Rachna Banerjee) । দীর্ঘদিনের অভিনয় জীবনে একের পর এক তিনি উপহার দিয়েছেন সুপারহিট সব বাংলা সিনেমা। গোটা বাংলা জুড়ে টলিউডের এই প্রথমসারির অভিনেত্রীর (Tollywood Actress) অনুরাগীর সংখ্যা নেহাত কম নয়।অসংখ্য মানুষের অনুপ্রেরণা তিনি।
তবে একটা সময় ছিল যখন শুধু বাংলা নয় পাশাপাশি একসময় অভিনয় করেছেন বলিউডেও। শুধুমাত্র বাংলা কিংবা হিন্দি ছবিতেই নয় রচনা অভিনয় করেছেন ওড়িয়া, এবং দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির সিনেমাতেও। তবে এখন তাঁকে সিনেমায় দেখা যায় না। কিন্তু একথা মানতেই হয় বড়পর্দা থেকে দূরে থাকলেও রচনাকে ব্যাপক জনপ্রিয়তা এনে দিয়েছে ছোটপর্দা।
তাই আজ তিনিই গোটা বাংলার ‘দিদি নম্বর ওয়ান’ (Didi no 1)। টেলিভিশিনের পর্দায় জনপ্রিয় গেম শো সঞ্চালনা করেই সেলিব্রেটি থেকে রাতারাতি দর্শকদের একেবারে ঘরের মেয়ে হয়ে উঠেছেন রচনা। দিদি নাম্বার ওয়ান সঞ্চালনার পাশাপাশি আরও একটি পেশার সাথে যুক্ত রয়েছেন অভিনেত্রী। ‘রচনা’স ক্রিয়েশন’ নামে একটি শাড়ির বুটিকও রয়েছে তাঁর।
এক বছর আগে অর্থাৎ ২০২১ সালে এই শাড়ির ব্যবসা শুরু করেছিলেন রচনা। যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় রাতারাতি নেটিজেনদের একাংশের ব্যাপক কটাক্ষের মুখে পড়েছিল তিনি। সেইসময় কেউ বলেছিলেন ‘গরীবের পেটে লাথি মারছেন রচনা’, তো আবার কেউ বলেছিলেন ‘গড়িয়াহাটে ৬০০ টাকার শাড়ি ৬০০০ টাকায় বিক্রি করছেন রচনা’।
এছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়ায় সেলাররাও বিরক্ত হয়েছিলেন রচনাকে এই পেশায় আসতে দেখে। তাদের আশঙ্কা এইভাবে রচনার মত একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী যদি এই ধরনের শাড়ির ব্যবসা শুরু করেন তাহলে তাদের অবস্থা কি হবে! তাদের কাছ থেকে হয়তো কেউ আর শাড়িই কিনবেন না। তবে সকলের সমস্ত কটাক্ষের জবাব দিয়েছিলেন রচনাও।
তিনি বলেছিলেন তিনি কারোর কোন ট্রোলিং নিয়ে ভাবেন না। কারণ রচনার কথায় কেউ তাকে এক পয়সা দিয়ে হেল্প করবে না। প্রথম কাজে তিনি মাত্র ৪০০ টাকা পেয়েছিলেন। আর আজ তিনি সবটুকু করেছেন নিজের যোগ্যতায়। তাই অভিনেত্রী মনে করেন একটা বয়সের পর বিনোদন জগতে কাজ কমবে তাই তখন তাঁকে তো রোজগার করতে হবে। তাই এখন থেকেই তিনি বেছে নিয়েছেন বিকল্প পথ। এছাড়া সেলার দিদিদের তিনি আশ্বস্ত করেছেন কারও ব্যবসার কোনো ক্ষতি হবে না। আর ট্রলারদের উদ্যেশ্যে রচনার প্রশ্ন ‘শাড়ির ব্যবসা করা কি খারাপ?’