আমাদের সকলের জীবনেই অন্যতম ভরসার স্থল বাবা। জীবনে বাবা আছে মানেই মাথার ওপর আছে এক মস্ত বড় ছাতা। জীবনের হাসি, কান্না, সুখ, দুঃখ এমনই নানান মুহুর্তের সাক্ষী ওই মানুষটা। তাই বাবাকে ছাড়া জগৎ অন্ধকার সকলের। তা সে সাধারণ মানুষ হোক কিংবা সেলিব্রেটি এই একটা জায়গায় দুর্বল সবাই। তাই অকালে বাবাকে হারিয়ে একেবারে ভেঙে পড়েছেন অভিনেত্রী রচনা বন্দোপাধ্যায় (Rachna Banerjee)।
জীবনের সমস্ত বাধা, প্রতিকূলতাকে দূরে ঠেলে হাসিমুখে সবাইকে সামনে এগিয়ে যাওয়ার রসদ জোগান তিনি। আজ সকলের সামনে ভেঙে পড়েছেন অনুপ্রেরণার সেই কান্ডারি সকলের প্রিয় দিদি রচনা বন্দোপাধ্যায়। বাবা রবীন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায়কে (Rabindranath Banerjee) হারিয়ে শোকে পাথর অভিনেত্রী। টিভির পর্দায় শুধু নয় বাস্তব জীবনেও সারাক্ষণ মুখে হাসি লেগে থাকে অভিনেত্রীর।

আজ পর্যন্ত জীবনে এসেছে নানান প্রতিকূলতা। জীবনের একাধিক কঠিনতম পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েও আজ পর্যন্ত কখনও ভেঙে পড়েননি তিনি।কারণ এতদিন পর্যন্ত সর্বক্ষণ তিনি নিজের পাশে পেয়েছিলেন তার বাবাকে। তাই জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান মানুষটাকে হারিয়ে আজ যেন একেবারে নিঃস্ব হয়ে গিয়েছেন বাংলার ‘দিদি নাম্বার ওয়ান।’
পিতৃহারা হয়েছেন তিনি। তাই এত বড় শোক পেয়ে আর সামলে রাখতে পারেননি নিজেকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বাবাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে তার একটি ছবি দিয়ে অল্প কথায় ব্যক্ত করলেন হাজার অনুভুতি। এদিন ফেসবুক পোস্টে অভিনেত্রী লিখেছেন ‘আমার বাপি,ভাবিনি এক দিন একা হয়ে যাব। ভাবিনি তুমি চলে যাবে। এখনও অনেক গুলো বছর তোমাকে ছাড়া কাটাতে হবে। তোমার আশীর্বাদ আমাদের সঙ্গে আছে, আমি জানি। থাকব…. থাকতে হবে। তুমি ভাল থেকো বাপি’।

জানা গেছে দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন রচনার বাবা রবীন্দ্রনাথ বাবু। গত রবিবার আচমকাই তার অবস্থার অবনতি ঘটে। বাড়িতে রেখেই চিকিৎসা চলছিল তাঁর। যথাসাধ্য চেষ্টা করেছিলেন চিকিৎসকরাও। কিন্তু সোমবার চিকিৎসকদের সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থ করে চির বিদায় নিয়েছেন অভিনেত্রীর বাবা। জানা গেছে মৃত্যু কালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।














