এই মুহূর্তে বাংলা টেলিভিশিনের অন্যতম জনপ্রিয় নন ফিকশন শো হল ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’ (Didi No 1)। সারা সপ্তাহ ধরেই এই রিয়েলিটি শোতে বাংলার নানা প্রান্ত থেকে নিজেদের জীবন সংগ্রামের বাস্তব কাহিনী শোনাতে আসেন বাংলার অসংখ্য দিদিরা। যা প্রতিনিয়ত অনুপ্রেরণা জোগায় বাংলার অসংখ্য মা-বোনদের। তবে শুধু সাধারণ মানুষই নয় মাঝেমধ্যেই দিদি নাম্বার ওয়ান-এর মঞ্চে আসেন সেলিব্রেটিরাও।
শুরু থেকেই এই শো-কে এক অন্য মাত্রা দিয়েছে টলিউড অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Rachna Banerjee) অনবদ্য সঞ্চালনা। সবমিলিয়ে দর্শকমহলে এই শোয়ের জনপ্রিয়তা নিয়ে নতুন করে কিছুই বলার নেই।সবমিলিয়ে প্রতি সিজনেই বেড়ে চলেছে দিদি নাম্বার ওয়ানের জনপ্রিয়তা। এহেন দিদি নাম্বার ওয়ানের বিরুদ্ধেই সম্প্রতি এক বিস্ফোরক অভিযোগ (Explosive Charge)বেহালার বাসিন্দা অরূপ কুমার ভুঁইয়া।
দিদি নাম্বার ওয়ানের বিরুদ্ধে ভয়ানক অভিযোগ এনে তার দাবি ‘টিআরপির লোভে মহিলাদের নিয়ে মিথ্যে নাটক দেখাচ্ছে দিদি নাম্বার ওয়ান’! ওই ব্যক্তি ভিডিওতে ক্ষোভ উগরে দিয়ে জানান কিছুদিন আগেই তার প্রাক্তন স্ত্রী হাজির হয়েছিলেন দিদি নাম্বার ওয়ানের মঞ্চে। সেখানে বিবাহ বিচ্ছেদের প্রসঙ্গ উঠতেই প্রাক্তন স্বামী প্রসঙ্গে নানা কটু কথা বলেছিলেন ওই মহিলা। আর তাতেই আপত্তি তুলে ওই ব্যক্তির দাবি, দিদি নাম্বার ওয়ানের মঞ্চে শুধুমাত্র একতরফাভাবে মহিলাদের কষ্টের কথা দেখানো হয় আর আড়ালে থেকে যায় সমাজের আনাচে কাঁনাচে ছড়িয়ে ছিঁটিয়ে থাকা অত্যাচারিত পুরুষরা।
এদিন তিনি ক্যামেরার সামনে এসে খুব স্পষ্ট ভাবেই তিনি বলেছেন ‘কিছু মেয়ের জন্য আজ অনেক ছেলেরাও অত্যাচারিত। হাতজোড় করে বলছি দিদি নাম্বার ওয়ানের মতো রিয়েলিটি শো বন্ধ করা হোক।’ সেই সাথে তিনি দাবি করেছেন ‘প্রয়োজনে স্বামী স্ত্রী দুজনকেই ডেকে, সামনাসামনি কথা হোক’। ওই ভিডিও ঝড়ের বেগে ভাইরাল হয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন অনেক সাধারণ মানুষও।
এবার এই বিতর্ক প্রসঙ্গে মুখ খুললেন খোদ অনুষ্ঠানের সঞ্চালিকা রচনা বন্দোপাধ্যায়। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিযোগ অস্বীকার করে রচনার পাল্টা প্রশ্ন, ‘এটা একদমই নয়। ১১ বছর ধরে এই শো চলে আসছে। প্রতিটা এপিসোডে চারটে করে মেয়ে অংশ নিচ্ছে। সবার কাহিনি, সবার চোখের জল এটা মিথ্যা? হাজার হাজার মেয়ে অংশ নিয়েছে, সবাই তো আর অ্যাক্টিং করতে পারে না। সবাই বানিয়ে কথা বলে? এটা হতে পারে না। হ্যাঁ, হতে পারে পাঁচশো-হাজার মেয়ের মধ্যে হয়তো একজন সত্যিটা এদিক-ওদিক বললো। কিন্তু সবাই হতে পারে না।’