টলিউড (Tollywood) অভিনেত্রী রচনা ব্যানার্জি (Rachana Banerjee) র কাছে বয়স কেবলমাত্রই একটি সংখ্যা। গত কয়েকদশক ধরেই বাঙালি দর্শকদের কাছে বেশ জনপ্রিয় অভিনেত্রী। সিনেমা থেকে ছুটি নিলেও ‘জি বাংলা’র জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো ‘দিদি নং ওয়ান’ (Didi No 1)-এ সঞ্চালনার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন রচনা ব্যানার্জি।
প্রায় দীর্ঘ এক দশক ধরে টেলিভিশনের পর্দায় তুমুল জনপ্রিয় এই শো। আর রচনাকে ছাড়া দিদি নং ওয়ান ভাবাই যায়না। দিদি নং ওয়ানের বিভিন্ন এপিসোডে মাঝেমধ্যেই হাজির হন সাধারণ মহিলারা ছাড়াও টলিপাড়ার বিভিন্ন অভিনেত্রী। এই মঞ্চে আসলে তুলে ধরা হয় দিদিদের সুখ, দুঃখ, আনন্দ, আহ্লাদ, অভিমানের কথা। এছাড়াও থাকে মজার মজার গেম ও।
দিন কয়েক আগেই পিতৃহারা হয়ে এক্কেবারে একা হয়ে গিয়েছেন রচনা। আসলে বাবা আর সন্তান ছাড়া আর বিশেষ কেউই নেই অভিনেত্রীর। দিদি নং ওয়ানের- মঞ্চে দাঁড়িয়ে সকলের মনের কথা শুনলেও অনেকেই জানতেন না রচনার ব্যক্তিগত জীবনের টানাপোড়েনের কথা।
বাবাকে হারানোর পর ক্যামেরার সামনেও বহুবার ভেঙে পড়তে দেখা গিয়েছে রচনাকে। এবার এমনই এক আবেগঘন মুহুর্তে স্বামীকে নিয়ে মুখ খুলতে শোনা যায় রচনা। বাবা মায়ের একটি মাত্র সন্তান রচনা ব্যানার্জি ১৯৯০ সালে মিস ক্যালকাটা পুরস্কার জিতেছিলেন৷ পূর্বে তার নাম ছিল ঝুমঝুম ব্যানার্জী পরিচালক সুখেন দাস সে নাম পরিবর্তন করে রাখেন রচনা ব্যানার্জি।
ওড়িশা ছবিতে লাগাতার অভিনয় করার সময়কালে ওড়িয়া নায়ক সিদ্ধার্থ মহাপাত্রের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন রচনা, কিন্তু সেই বিবাহ বিশেষ সুখকর হয়নি। বিবাহ বিচ্ছেদের পর ওড়িশা থেকে পাকাপাকি ভাবে সরে আসেন রচনা৷ এরপর অভিনেত্রী প্রবাল বসুর সঙ্গে গাটঁছরা বাঁধেন। তাদের একটি পুত্র সন্তানও রয়েছে। যার নাম প্রনিল বসু। কিন্তু এক্ষেত্রেও তার সংসার টেকেনি। ডিভোর্স না হলেও স্বামীর থেকে আলাদাই থাকেন রচনা, তার একমাত্র সম্বল এখন একমাত্র ছেলেই।