বাঙালি আর যাই ভুলে যাক না কেন রবীন্দ্র জয়ন্তী (Rabindra Jayanti) কিছুতেই ভোলে না। ভুলবেই বা কী করে! এই দিনেই যে জন্ম হয়েছিল বাংলার তথা গোটা ভারতের গর্ব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের (Rabindranath Tagore)। তাঁর সাহিত্য, সঙ্গীত চর্চা সমৃদ্ধ করেছে এই দেশকে। আজ সেই মানুষটির জন্মদিন। সকাল থেকেই তাই পাড়ায় পাড়ায় হচ্ছে কবি-প্রণাম অনুষ্ঠান।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রসঙ্গ উঠলেই সবার প্রথমে যে স্থানের কথা মাথায় আসে তা হল জোড়াসাঁকো। এই স্থানের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছেন ‘কবিগুরু’। আর এই বছর রবীন্দ্র জয়ন্তীর দিনে সেখানেই অনুরাগীদের দেখা দিলেন তিনি! চোখের সামনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে দেখে উপচে পড়ল ভক্তদের ভিড়।
প্রত্যেক বছরই নাকি ২৫ বৈশাখ ঠাকুরবাড়িতে আসেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর! কবিগুরুর জন্মদিনে জোড়াসাঁকোয় গেলে তাঁর দেখা মেলা এক প্রকার অনিবার্য। যে অনুরাগীরা চান, তাঁরা এই দিন তাঁর সঙ্গে নিজস্বীও তোলেন।
পরনে পাজামা-পাঞ্জাবি, লম্বা দাঁড়ি, মাথায় কাঁচা-পাকা চুল- দূর থেকে এক ঝলক দেখলে মনে হবে যেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরই দাঁড়িয়ে আছেন। অনেকে তাঁকে ‘রবি’ নামে সম্বোধনও করেছেন। অবিকল ‘কবিগুরু’র মতো দেখতে (Look alike) এই ব্যক্তির নাম সোমনাথ ভদ্র (Somnath Bhadra)। হেদুয়ায় থাকেন তিনি। আগে দাঁড়ি-গোঁফ রাখতেন না সোমনাথবাবু। তবে পরে এক স্বনামধন্য ব্যক্তির পরামর্শ শুনে দাঁড়ি-গোঁফ রাখা শুরু করেন।
আজ রবীন্দ্র জয়ন্তী উপলক্ষ্যে জোড়াসাঁকোয় উপস্থিত হয়েছিলেন সোমনাথবাবু। তাঁকে দেখে প্রথমে প্রায় সকলেই অবাক হয়ে যান। তাঁর সঙ্গে সেলফি তোলার হিড়িক পড়ে যায়। সোমনাথবাবু জানান, বছরের অন্য সময়ে নিজস্বী তোলার জন্য ১০০ টাকা করে নেন তিনি। তবে আজ পঁচিশে বৈশাখ বলে কথা! সেই জন্য কারোর থেকে কোনও অর্থ নেননি তিনি। হাসিমুখে সবার নিজস্বী তোলার আবদার মিটিয়েছেন।
দেখতে অবিকল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতো। ‘কবিগুরু’র মতো লেখালেখিতেও আগ্রহ রয়েছে সোমনাথবাবুর? ঘটনাচক্রে ‘কবিগুরু’র মতো দেখতে হলেও কবিতা কিংবা গল্প লেখায় কোনও আগ্রহ নেই সোমনাথবাবুর। এক-দু’টি জায়গায় অভিনয় করেন। তবে সেটিও শখে করে থাকেন তিনি।