আর মাধবন (R Madhavan) পরিচালিত ‘রকেট্রিঃ দ্য নাম্বি এফেক্ট’ ছবিটি মুক্তি পেতে বেশিদিন বাকি নেই। এই ছবির মাধ্যমেই পরিচালক হিসেবে ডেবিউ হয়েছে অভিনেতার। এই মুহূর্তে জোরকদমে ছবির প্রচার চালাচ্ছেন তিনি। তবে এসবের মাঝেই অভিনেতা-পরিচালকের এক বেফাঁস মন্তব্যের জেরে হাসির রোল উঠেছিল নেটপাড়ায়। যা নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন তিনি নিজে।
সম্প্রতি ‘রকেট্রি’ পরিচালক মাধবন বলেন, ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন তথা ইসরো নাকি হিন্দু ক্যালেন্ডার দেখে মঙ্গলযান পাঠিয়েছিল। হিন্দু ক্যালেন্ডার পাঞ্চাংই নাকি সফলভাবে মহাকাশযান পাঠাতে সাহায্য করেছিল। এখানেই থেমে থাকেননি বলিউডের ম্যাডি। তিনি বলেন, ইসরোর বিজ্ঞানীরা যেহেতু ভারতীয় হিন্দু ক্যালেন্ডার দেখে মঙ্গলগ্রহে মহাকাশযান পাঠিয়েছিল, তাই সেটি সফল হয়েছিল। তাঁর সেই ভিডিও মুহূর্তের মধ্যে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। কেউ কেউ বলেন, মহাকাশবিজ্ঞান সবাই না বুঝতেই পারেন। কিন্তু না বুঝে সেই বিষয়ে বক্তব্য রাখা উচিত নয়।
ইসরোর প্রাক্তন বিজ্ঞানী নাম্বি নারায়ণনের ওপর ‘রকেট্রি’ (Rocketry: The Nambi Effect) সিনেমাটি তৈরি করেছেন মাধবন। ছবিতে বিজ্ঞানীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি নিজে। এছাড়া বলিউড ‘বাদশা’ শাহরুখ খান, দক্ষিণী সুপারস্টার সুরিয়াও ছবিতে রয়েছেন। এই ছবির প্রচারে গিয়েই মাধবন বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন।
When panjakam plays a important role in Mars mission #Madhavan #MarsMission #science #technology #sciencefiction pic.twitter.com/tnZOqYfaiN
— கல்கி (@kalkyraj) June 23, 2022
এবার এই বিষয়ে চরম ট্রোলের শিকার হওয়ার পর মুখ খুললেন মাধবন নিজে। অভিনেতা টুইটারে লিখেছেন, ‘পঞ্জিকাকে তামিল ভাষায় পাঞ্চাং বলার জন্য আমার ক্ষমা চাওয়াই উচিত। আমি খুবই অজ্ঞ। তবে ভুললে চলবে না, মঙ্গল অভিযান আমরা কিন্তু মাত্র ২টো ইঞ্জিন নিয়েই শেষ করেছিলাম। এটি একটি রেকর্ড। বিজ্ঞানী নাম্বি নারায়ণননের বিকাশ ইঞ্জিন রকস্টার’।
??I deserve this for calling the Almanac the “Panchang” in tamil. Very ignorant of me.?????❤️Though this cannot take away for the fact that what was achieved with just 2 engines by us in the Mars Mission.A record by itself. @NambiNOfficial Vikas engine is a rockstar. ?❤️ https://t.co/CsLloHPOwN
— Ranganathan Madhavan (@ActorMadhavan) June 26, 2022
মাধবনের তামিলে বলা বিতর্কিত মন্তব্য অনুবাদ করে এর আগে একজন নেটাগরিক লিখেছিলেন, ‘ওনার কথায় মূল বক্তব্য হল, মঙ্গলের কক্ষপথে প্রবেশ করতে সাহায্য করার জন্য ভারতীয় রকেটে বিদেশি রকেটের মতো তিনটে ইঞ্জিন (সলিড, লিকুইড এবং ক্রাইওজেনিক) থাকে না। সেই কারণেই এই অভাব পূরণ করতে ভারতীয় বিজ্ঞানীরা ‘পঞ্চঙ্গম’এর (হিন্দু ক্যালেন্ডার) তথ্য ব্যবহার করেছিল’।
আর মাধবন পরিচালিত এই সিনেমা চলতি বছর কান চলচ্চিত্র উৎসবের অন্যতম চর্চিত সিনেমাগুলির মধ্যে একটি ছিল। আগামী ১ জুলাই হিন্দি, ইংরেজি, তামিল, তেলেগু এবং মালায়ালম ভাষায় মুক্তি পাবে এই ছবিটি।