আজকাল হিন্দীর পাশাপাশি অন্যান্য ভাষার ও ভালো কাজ দেখতে মুখিয়ে থাকেন গোটা দেশের সিনেপ্রেমীরা। সাবটাইটেল দিয়ে হলেও কষ্ট করে হলেও ভালো কাজ দেখতে ভোলেননা তারা। তবে এটাও সত্যি নিজের বোঝা ভাষায়, জানা ভাষায় সিনেমা দেখার মজাই আলাদা। দেশের আর সমস্ত কোণার মানুষের কাছে দক্ষিণ ভারতীয় ভাষা একটু কমই বোধগম্য হয়। তাই আজকালকার বেশিরভাগ দক্ষিণ ভারতীয় ছবিই তিন চারটে ভাষায় ডাব করা হয়।
অতি সম্প্রতি মুক্তি প্রাপ্ত দক্ষিণী ফিল্মস্টার আল্লু অর্জুনের ‘পুষ্পা দ্য রাইজিং স্টার’ সিনেমাটি হিন্দী ভাষাতেও দুর্দান্ত সাফল্য অর্জন করেছে। এখন ভাবুন এই ছবিটি যদি হিন্দী ভাষায় না দেখা যেত, তবে কখনোই দেশের এত দর্শক সিনেমা হলে গিয়ে ছবিটি দেখতেন না। অর্থাৎ ডাবিং এর গুরুত্ব সিনেমার ক্ষেত্রে অপরিসীম। ডাবিং খারাপ হলে সিনেমা খারাপ হতেও সময় লাগেনা। ডাবিং একপ্রকার চ্যালেঞ্জ।
দেশের কমবেশি অনেকেই ইতিমধ্যেই দেখে ফেলেছেন আল্লু অর্জুনের পুষ্পা। হিন্দীতে ইতিমধ্যেই পুষ্পার একাধিক ডায়লগ ভাইরাল ও হয়েছে। আজ জানাব পুষ্পাকে এর গম্ভীর, ভয়ঙ্কর, প্রভাবশালী চরিত্র বানানোর পিছনে আসল শিল্পীর নাম। ‘ফ্লাওয়ার নেহি ফায়ার হু’, ‘ম্যায় পুষ্পা, পুষ্পা রাজ ঝুকেগা নেহি’ এমন অনেক ডায়লগে এখন তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া।
আল্লু অর্জুনের মতো একজন শক্তিশালী দক্ষিণ অভিনেতার হিন্দি ডাবিংয়ের জন্য বেশ শক্তিশালী কণ্ঠের প্রয়োজন ছিল । আর তার কন্ঠের জন্য গলা দিয়েছেন অভিনেতা অভিনেতা শ্রেয়াস তালপাড়ে। সকলেই তার নিখুঁত ডাবিং এর প্রশংসা করছেন। অতি সম্প্রতি সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে শ্রেয়াস সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন।
তিনি লিখেছেন, “আপনাদের এত ভালোবাসার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আমার কন্ঠ হিন্দি ভাষায় পুষ্পাতে যেমন সাড়া পেয়েছে তা দেখে আমি আপ্লুত। আল্লু অর্জুনের রেকর্ড এটা। পুষ্পা ঝুকেগা নেহি, ব্লকব্লাস্টার নম্বর রুকেগা ভি নেহি। ” জানিয়ে রাখি বলিউড অভিনেতা শ্রেয়াস তালপাড়ে ”ওম শান্তি ওম”, “গোলমাল”, ” হাউজফুল” এর মত ছবিতে অভিনয় করেও প্রবল প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন।