বাংলা ছবির (Tollywood) কথা বলতে গেলে যার নাম না নিলেই নয় তিনি হলেই টলিউডের ‘ইন্ডাস্ট্রি’ প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জী (Prosenjit Chaterjee)। উত্তম কুমারের পরবর্তীকালে বাংলা ছবিকে দর্শকদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় করে দিনের পর দিন সিনেমা হল হাউসফুল করতে প্রসেনজিতের অবদান রয়েছেন অনেকটাই। এমন অনেকেই রয়েছেন যারা অভিনেতার ছবি দেখেই বড় হয়েছেন। কিন্তু তিন দশকের বেশি দর্শকদের মন জিতে শেষে কি না ছবিতে ভরপুর গালাগালি খেলেন তিনি!
প্রথম যখন টলিউডে পা রাখেন ‘বুম্বা দা’ তখন প্রসেনজিৎ নয় ‘পোয়েনজিৎ’ নামে বেশি খ্যাতি পেয়েছিলেন তিনি। কথা বলার স্টাইলে থেকে হাঁটার ভঙ্গিমা এমনকি পোশাক থেকে চুলের কাটিং সবই মনে ধরেছিল দর্শকদের। একপ্রকার সেযুগের ফ্যাশন আইকন হয়ে গিয়েছিলেন প্রসেনজিৎ। তিন দশক পেরিয়ে আজও তাঁর জনপ্রিয়তা কিন্তু একই রয়ে গিয়েছে। তবে এযুগে ট্রোলিং বা মিম থেকে নিস্তার পাননি প্রসেনজিৎ।
শীঘ্রই মুক্তি পেতে চলেছে সম্রাট শর্মা পরিচালিত প্রসেনজিৎ ওয়েডস ঋতুপর্ণা’ (Prosenjit Weds Rituparna)। শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ এর পর আবারো একসাথে দেখা যাবে আইকনিক এই জুটিকে। গতকাল অর্থাৎ বুধবারই ছবির ট্রেলার মুক্তি পেয়েছে। এদিন ট্রেলার মুক্তির অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন প্রসেনজিৎ ও ছবির নায়িকা ঈপ্সিতা মুখার্জী। সেখানে সাক্ষৎকারে নানা কথার মাঝে প্রসেনজিৎ বলেন, ভীষণভাবে গালাগাল করা হয়েছে তাকে! ট্রেলারেও অবশ্য তা দেখা গিয়েছে। আর এই কারণেই শুটিংয়ের সময় নাকি রীতিমত লজ্জায় পরে গিয়েছিলেন সকলে।
তবে আসলে ব্যাপরটা কিন্তু আগে থেকেই জানতেন প্রসেনজিৎ। ছবির স্ক্রিপ্ট অনুযায়ী এমন বেশ কিছু দৃশ্য রয়েছে। আসলে রোমান্টিক কমেডির ওপর তৈরী এই ছবিতে একটু নতুন করে তুলে ধরতে চেয়েছেন পরিচালক। তবে নাম দেখে ভিরমি খাবেন না, ছবির আসল নায়ক নায়িকা কিন্তু প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা নন। বরং তাঁরা ঈপ্সিতা ও ঋষভের মা বাবার চরিত্রে অভিনয় করবেন। আর মজার চলে নায়ক ও নায়িকার নাম রাখা হয়েছে ঋতুপর্ণা-প্রসেনজিৎ।
ছবির কাহিনী অনুযায়ী নায়িকা প্রসেনজিতের ফ্যান। স্বপ্ন ছিল তাকেই বিয়ে করার কিন্তু সেটা আর হয়নি। তাই শেষমেশবাড়ির লোক ধরে বিয়ে দেয় প্রসেনজিৎ নামেরই এক ছেলের সাথে। বিয়ের পরেও অন্য কারোর স্ত্রী হতে রাজিনী নায়িকা। যা দেখে খোঁচে বোমা নায়ক। আর তখনই অশ্রাব্য গালি গালাছ বকেছে বুম্বাদার নামে।
ছবিতে ঋতুপর্ণাকে নায়ক প্রসেনজিৎ একসময় বিরক্ত হয়ে জিজ্ঞাসা করে বসেছে, ‘কী আছে ওই ৬০ বছরের বুড়ো মালটার মধ্যে?’ সাথে সাথেই গালে কষিয়ে এক থাপ্পড়! এরপর আরও বলতে দেখা যায়, ‘নেতাজিকে নিয়ে ছাবলামো মারা মানুষটাকে তোরা হিরো বলতে প্যারিস আমি না’। অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে ছবিতে বুম্বাদাকে কিছুটা হলেও অপমান করা হয়েছেই। এখন দেখার বিষয় এই নতুন গল্প কতটা মন জয় করে দর্শকদের।