বাংলার সুপারস্টার প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Prosenjit Chatterjee)। সময়ের সাথে ইন্ডাস্ট্রির তো বটেই সেইসাথে ইন্ডাস্ট্রির বাইরেরও অনেকের কাছেই অভিভাবক হয়ে উঠেছেন তিনি। ৫৯ বছর বয়স যেন তার কাছে কেবলমাত্র একটি সংখ্যা। গত কয়েক দশক ধরে টলিউড ইন্ডাস্ট্রিকে বটগাছের মত ছায়া দিয়েছেন অভিনেতা, তার হাত ধরেই হয়েছে বাংলা সিনেমার বিবর্তন। আর আজও তার জনপ্রিয়তা বিন্দুমাত্র ভাটা পড়েনি, তার সমকক্ষ বা প্রতিপক্ষ টলিউডে মেলা ভার।
তবে তার স্মার্টনেসকে রীতিমতো টেক্কা দিতে পারে প্রসেনজিৎ পুত্র তৃষাণজিৎ। প্রসেনজিৎ এর ব্যক্তিগত জীবন প্রথম দিকে বেশ টানাপোড়েনেই কেটেছে। প্রথম স্ত্রী জনপ্রিয় অভিনেত্রী দেবশ্রী রায়ের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর,তিনি অপর্ণা গুহঠাকুরতাকে বিয়ে করেন। সেই বিয়েও শেষমেশ টেকেনি। অবশেষে অভিনেত্রী অর্পিতা পালকে, বিয়ের পর তার সঙ্গেই সুখে সংসার করছেন অভিনেতা। তাদেরই ছেলে তৃষাণজিৎ ছোট করে বললে মিশুক।
গতকাল অর্থাৎ ৭ই জানুয়ারিই ছিল অভিনেতা প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জির পুত্র মিশুকের জন্মদিন। ছেলের জন্মদিনে এদিন একগুচ্ছ পুরোনো ছবি শেয়ার করলেন বাংলার সুপারস্টার অভিনেতা। সত্যি বলতে ছবি দেখে নেটিজেনরা তো আকাশ থেকে পড়ছেন কে বাবা আর কে ছেলে বোঝার উপায় নেই।
করোনা আবহে নিজেদের বাড়িতেই ঘরোয়াভাবে ছেলের জন্মদিন সেলিব্রেট করলেন স্বস্ত্রীক বুম্বা দা। বাড়ির বাগানে একটি ছোট্ট টেবিলে ছিমছাম ভাবে জন্মদিন পালন হল। মিশুকের সামনে রাখা দুটি ছোট ছোট কেক। ফুটবল পাগল ছেলের জন্যে মিশুকের পছন্দের দলের থিমে কেক সাজানো ছিল।
View this post on Instagram
এদিন একগুচ্ছ ছবি শেয়ার করে প্রসেনজিৎ সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখলেন, ‘শুভ জন্মদিন মিশুক। তোমার জন্মদিনে ফিরে দেখা কিছু সুন্দর মুহূর্ত। যেমন সুন্দর তোমার মন, তেমনটাই থাকুক চিরকাল।’ এই ছবিতে মিশুকের জন্য উপচে উঠেছে শুভেচ্ছা বার্তা। কলকাতার ঠান্ডায় গাঢ় নীল ডেনিম জ্যাকেটে সেজেছিলেন মিশুক। আর মা বাবা দুজনের পরনেই রঙ বেরঙের শীতপোশাক। প্রসেনজিৎ পুত্র মিশুক বাবা মায়ের মতো অভিনয় জগত বেছে না নিয়ে, ইউরোপে পড়াশুনো করছেন।