প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Prosenjit Chatterjee) মানেই বাংলা ইন্ডাস্ট্রির মিস্টার পারফেকশনিস্ট। তার অভিনয় দক্ষতা নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই কারও। দীর্ঘদিনের অভিনয় জীবনে বার বার নিত্যনতুন পরীক্ষা নিরীক্ষা করেছেন,চরিত্রের প্রয়োজনে নিজেকে ভেঙেছেন,গড়েছেন অভিনেতা। নানান ওঠা পড়ার মধ্যে দিয়ে গিয়ে আজকের দিনে টলিউডের (Tollywood) ইন্ডাস্ট্রি নামে পরিচিতি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।
একটা সময় এমন ছিল যখন তিনি প্রায় একাধারে সামলেছেন গোটা বাংলা ইন্ডাস্ট্রিকে। বরাবরই দর্শকদের চাহিদা কে প্রাধান্য দিয়েছেন অভিনেতা।তাই সেসময় দর্শকদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে এমন সব সিনেমায় অভিনয় করেছেন যার জেরে দর্শকমহলে তিনি রাতারাতি হয়ে উঠেছিলেন পোয়েনজিৎ।
তাঁর গান, কথা বলার ভঙ্গি, হাঁটা-চলা, অভিনয় সব কিছুতেই ছিল সেই তারকা ‘পোয়েনজিৎ’-এর ছাপ। তবে এই তকমা নিয়ে কোনো দিন আফশোস করেননি অভিনেতা। বরং তার জন্য দক্ষিণ ভারতে গিয়ে রীতিমতো পরীক্ষা নিরীক্ষা করে নতুন প্রযুক্তি শিখে এসেছিলেন অভিনেতা।সম্প্রতি সেই সিক্রেট শেয়ার করেছিলেন প্রসেনজিৎ নিজেই।
এপ্রসঙ্গে অভিনেতা জানিয়েছেন ২০১১ সালের ‘প্রতিবাদ’ (Protibad) সিনেমার কথা। এসভিএফের প্রযোজনা এবং হরনাথ চক্রবর্তীর পরিচালনায় তৈরি এই সিনেমায় প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের বিপরীতে ছিলেন অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়, রঞ্জিত মল্লিক, দীপঙ্কর দে, লাবণি সরকার প্রমুখ।বুম্বাদার দাবি, এই ছবিটিই ছিল বাংলা বিনোদনের মোড় ঘোরানো ছবি।
কারণ সেসময় তিনি উপলব্ধি করেছিলেন শুধু অভিনয় দিয়ে কিছুই হবে না। তাই অ্যাকশন দৃশ্যের জন্য নতুন প্রযুক্তি বুঝতে তিনি দক্ষিণ ভারতে গিয়ে অনেক দিন ছিলেন রমেশ প্রসাদের স্টুডিয়োয়। এরপর নিজের অভিনয়ে যে বদল এনেছিলেন তা থেকেই তিনি দর্শকদের কাছে ‘পোয়েনজিৎ’ হয়ে ওঠেন। অভিনেতার কথায় পরে তাকে সেই ছক ভেঙে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করেছিলেন বাংলার কালজয়ী পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষ। এরপরেই ধীরে ধীরে অন্যধারার ছবি করতে করতে আজকের প্রসেনজিৎ হয়ে উঠেছেন অভিনেতা।