বাংলা সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির চারমূর্তি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Prosenjit Chatterjee), তাপস পাল (Tapas Paul), অভিষেক চট্টোপাধ্যায় ও চিরঞ্জিত চক্রবর্তী। এক দশক আগেও এই চারজন্যে দাপিয়েছিলেন টলিউড। অভিনয়ের দক্ষতা থেকে দুর্দান্ত স্টাইল সব মিলিয়ে সুপারস্টার হয়েগিয়েছিলেন প্রত্যেকেই। যদিও একেঅপরের সাথে রেষারেষি ছিল ঠিকই, তবে আদতে বন্ধুত্বের সম্পর্কই ছিল অন্তরে।
মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে এসে টলিউডের হিরো হয়ে উঠেছিলেন তাপস পাল। দুর্দান্ত অভিনয় থেকে শুরু করে মিষ্টি হাসি যেন মন কেড়েছিল দর্শকদের। গুরু দক্ষিণা, দাদার কীর্তি, মঙ্গলদীপ, আটটা আটের বনগাঁ লোকাল এর মত ছবি আজও সকলের মনে গেঁথে রয়ে গিয়েছে।
প্রসেনজিৎ, চিরঞ্জিত এর সমসময়ে ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম একজন ছিলেন তিনি। তবে মাঝে অভিনয় ছেড়ে রাজনীতির দিকে পা বাড়িয়েছিলেন অভিনেতা। অনেকের মতেই এটা জীবনের সবথেকে বড় ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। অভিনয় জীবনে পাওয়া সমস্ত জনপ্রিয়তা ফিকে হয়েছিল অনেকটাই। এরপর একসময় অসুস্থ হয়ে পড়েন ও ২০২০ সালের ১৮ই ফেব্রুয়ারি প্রয়াত হন তাপস পাল।
এদিন প্রিয় বন্ধু তাপস পালের মৃত্যু বার্ষিকীতে পুরোনো স্মৃতি মনে করে আবেগধন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। জানা যায় দুজনেই বেশ ভালো বন্ধু ছিলেন। কিন্তু প্রিয় বন্ধু চলে গিয়েছেন অনেক আগেই। মৃত্যুবার্ষিকীতে তাই বন্ধুর সাথে একটি পুরোনো ছবি শেয়ার বার্তা দিয়েছেন প্রসেনজিৎ।
কোনো এক বাংলা সিনেমার দৃশ্যের ছবি শেয়ার করে ফেসবুকে প্রসেনজিৎ লিখেছেন, ‘বন্ধু, তুই শিল্পী ছিলিস। আর দেখিস, তোকে মানুষ শিল্পী হিসেবেই মনে রাখবে। আর মনে রাখবে তোর ওই হাসিটা। ভাল থাকিস বন্ধু।’ যা মুহূর্তের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, এক সাক্ষাৎকারে নিজেদের বন্ধুত্ব সম্পর্কে বলেছিলেন প্রসেনজিৎ। তাপস পালকে নিজের গাড়িতেই নিয়ে যেতেন তিনি শুটিংয়ের জন্য। এমনকি তাঁকে ‘বড় ছেলে’ বলতেন মা বলেও জানান। বাইরে শুটিংয়ের সময় একই সাথে খাবার বানিয়েও পাঠাতেন মা।