বলিউডের ‘দেশি গার্ল ‘ (Desi Girl) প্রিয়াঙ্কা চোপড়া(Priyanka Chopra)। বলিউডের গন্ডি ছাড়িয়ে অনেক দিন আগেই হলিউডে পাড়ি দিয়েছেন তিনি। নিজস্ব অভিনয় দক্ষতার জেরেই বর্তমানে সাফল্যের শিখরে পৌঁছেছেন অভিনেত্রী। হলিউড হোক কিংবা বলিউড উভয়ক্ষেত্রেই তাঁর অবাধ বিচরণ। বিশেষ করে কাজের প্রতি কড়া অনুশাসনের কারণে ইন্ডাস্ট্রিতে বিশেষ ভাবে জনপ্রিয় অভিনেত্রী।
শুরু থেকেই নিজের প্রতিটি প্রোজেক্টের প্রতি সমান দায়ীত্বশীল তিনি। তাই বরাবরই নিজের কাজ নিয়ে দারুন সিরিয়াস প্রিয়াঙ্কা। প্রতিটি চরিত্রের জন্যই নিজের ১০০ শতাংশ নিংড়ে দেন তিনি। তাই কাজের প্রতি এতটাই সৎ থাকার ব্যাপারে যথেষ্ট সুখ্যাতি রয়েছে পিকিং চপসের। কিন্তু একবার তিনি নিজেই ছাড়তে চেয়েছিলেন সঞ্জয় লীলা বনশালির ‘বাজিরাও মাস্তানি’ ছবির কাজ।
শুধু তাই নয়, জানা যায় ছবির শ্যুটিং শুরুর তিন দিনের মাথায় শুটিং সেটে বসেই নিজের এই সিদ্ধান্তের কথা বলেছিলেন প্রিয়াঙ্কা। একথা বলতে বলতে নাকি হাপুস নয়নে কাঁদতেও শুরু করে দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। আর প্রিয়াঙ্কার এই সিক্রেট সকলের সামনে ফাঁস করেছিলেন খোদ বলিউডের বাজিরাও অর্থাৎ রণবীর সিং।
একবার একটি সাক্ষাৎকার চলাকালীন পাশেই বসে থাকা প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার দিকে ইশারা করে মজার সুরে পুরনো ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে রণবীর জানান, ‘বনশালির নির্দেশনা প্রক্রিয়ার সঙ্গে যেহেতু এর আগে তেমনভাবে পরিচিত ছিলেন না প্রিয়াঙ্কা , তাই গোটা ব্যাপারটা তাঁর কাছে রীতিমতো অদ্ভুত লাগছিল। একদিন তো বলেই ফেলেছিলেন যে রাট ৯টা বেজে গেল অথচ সারাদিনে একটি শটও নেওয়া হল না! কী যে হচ্ছে ফ্লোরে তা প্রিয়াঙ্কার মাথায় ঢুকছিল না। রগে, দুঃখে, অবাক হয়ে অদ্ভুত অবস্থা হয়েছিল ওঁর!’
সেইসাথে রণবীরের আরও সংযোজন ‘শেষপর্যন্ত আর সহ্য করতে না পপেরে শেষমেশ শ্যুটিংয়ের তিন দিনের মাথায় রীতিমতো কাঁদতে কাঁদতে ‘বাজিরাও মাস্তানি’ ছবিটি ছাড়তে চেয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা।’ রণবীরের কথা যে সত্যি তা বোঝাতে মিথ্যা কান্নার অভিনয় করে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা। প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে ‘বাজিরাও মাস্তানি’ মুক্তি পাওয়ার পরে বক্স অফিসে বিরাট সাফল্য এনে দিয়েছিল এই ছবি। ছবিতে মুখ্যচরিত্রে না থাকলেও প্রিয়াঙ্কার অভিনয় নজর কেড়েছিল দর্শকদের।