দুবাইয়ের প্রিন্সেস হায়া বিনতে আল হুসেন। দুবাইয়ের বাদশা শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের ষষ্ঠ স্ত্রী প্রিন্সেস হায়া। প্রিন্সেস হায়ার সম্পর্কে একটি বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হচ্ছে প্রিন্সেস হায়া তার দেহরক্ষীর সাথে সম্পর্কে লিপ্ত ছিলেন। এবং সেই সম্পর্কে গোপন রাখার জন্য তিনি কোটি কোটি টাকা করছে করেছিলেন। যদিও শেষমেশ সম্পর্ক গোপন রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। যার ফলে প্রিন্সেস হায়াকে না জানিয়েই তাকে তালাক দিয়েছেন দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রাশিদ আল মাকতুম।
যেমনটা জানা যাচ্ছে প্রিন্সেস হায়ার তার প্রেমিক রাসেক ফুলকে অর্থাৎ দেহরক্ষীকে চুপ থাকার জন্য কোটি কোটি টাকা দিয়েছিলেন। এছাড়াও প্রাক্তন পদাতিককে ১২ লক্ষ টাকা দামের ঘড়ি, ৫০০০০ টাকা মূল্যের শটগানের মত বহু উপহার দিয়েছিলেন। যার বদলে ফুলকে গোপন সম্পর্ক গোপন রাখার কথা বলা হয়েছিল। সম্পর্কের সূত্রপাত ঘটে ২০১৬ সালে। যা ২০১৮ পর্যন্ত চলেছিল। কিন্তু শেষমেশ প্রিন্সেস হায়ার গোপন সম্পর্কের কথা জানতে পেরে দুবাইয়ের শাসক শারিয়া আইন অনুযায়ী ২০১৯ সালের প্রিন্সেসকে তালাক দিয়ে দেন।
দেহরক্ষী রোসেল ফুলের স্ত্রী তার এক বন্ধুকে বলেছিলেন যে কিভাবে ফুল দামি উপহারের জন্য প্রলুদ্ধ হয়ে গিয়েছিল। সর্বদাই প্রিন্সেসের সাথে থাকত। প্রিন্সেস হায়ার আগে দেহরক্ষী ফুলের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছিল ২০১৭ সালে। রাসেলের স্ত্রী বুঝতে পেরেছিলেন যে তার স্বামীকে প্রলুদ্ধ করার জন্য রাজকন্যা তার বিশাল সম্পদ ব্যবহার করে দামি উপহার দিচ্ছে। যা তিনি মেনে নিতে পারেননি।