বৃহস্পতিবার প্রয়াত হয়েছেন অভিনেতা সিদ্ধার্থ শুক্লা (Siddarth Shukla)। আর ঠিক তারপরেই পেছন ফিরে তাকালে দেখা যাচ্ছে ইতিমধ্যেই ছেড়ে গিয়েছেন ‘বালিকা বধূর’ প্রধান তিন জন তারকা। প্রথমে প্রত্যুষা বন্দ্যোপাধ্যায়, দিন কয়েক আগেই সুরেখা সিক্রির পর এবার সিদ্ধার্থ শুল্কার মৃত্যু যেন একটা ধারাবাহিকতার ছাপ রেখে যায়। সুরেখা বয়সজনিত কারণে মারা গেলেও সিদ্ধার্থ এবং প্রত্যুষার মৃত্যু যেন কিছুতেই মেনে নেওয়া যাচ্ছেনা।
প্রত্যুষা ছেড়ে গিয়েছিলেন মাত্র ২৪ বছর বয়সে, সিদ্ধার্থের পথ চলা থমকালো ৪০ -এ আর সুরেখার মৃত্যু কালে বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। আজ বংট্রেন্ডের পর্দায় রইল এই তিন তারকার মৃত্যুর ইতিহাস। শুরু করা যাক সদ্য পাওয়া দুঃসংবাদ দিয়েই।
সিদ্ধার্থ শুক্লা-
বৃহস্পতিবার সকালেই আচমকা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় বিগবস ১৩ এর বিজয়ী তথা জনপ্রিয় টেলিভিশন অভিনেতা সিদ্ধার্থ শুক্লার৷ মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৪০ বছর। মুম্বইয়ের কুপার হাসপাতাল সূত্রে খবর ঘুমের মধ্যে একটি ওষুধ খেয়েছিলেন তিনি, এরপর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় টুকুও দেননি অভিনেতা। মনে করা হচ্ছে, হৃদরোগ জনিত কারণেই মৃত্যু হয়েছে তার। তবে ময়না তদন্তের পরেই অভিনেতার দেহ তুলে দেওয়া হবে পরিবারের হাতে। স্বভাবতই শোকের ছায়া নেমেছে বিনোদন জগতে। ‘বালিকা বধূ’ ধারাবাহিকে ‘আনন্দী’-র দ্বিতীয় স্বামী (শিবরাজ শেখর) চরিত্রে অভিনয় করতেন তিনি।
প্রত্যুষা ব্যানার্জি –
‘বালিকা বধূ’ ধারাবাহিকে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করতেন বাঙালার মেয়ে প্রত্যুষা। আনন্দী চরিত্রে অভিনয় করে বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন তিনি। ২০১৬ সালে মুম্বইয়ের ফ্ল্যাট থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় বালিকা বধূর আনন্দীর। সাদা চোখে আত্মহত্যা হিসেবে মনে হলেও অভিনেত্রীর পরিবারের দাবী তার সমকালীন প্রেমিক অভিনেতা রাহুলরাজ সিংহ তাঁকে মানসিক ও শারীরিক ভাবে নির্যাতন করতেন, তার জেরেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অভিনেত্রী। আজও সেই মামলা চলছে।
সুরেখা সিক্রি-
চলতি বছরের ১৬ জুলাই মৃত্যু হয় সুরেখা সিক্রির। বালিকা বধূ ধারাবাহিকে ‘দাদিসা’র মতো গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করতেন তিনি। আগেই অসুস্থ ছিলেন এরপর জাঁকিয়ে বসে অর্থকষ্ট৷ ২০১৮ সালে স্ট্রোক হওয়ার পর পক্ষাঘাত হয়ে যায় সুরেখার। ২০২০ সালে ফের ব্রেন স্ট্রোক হয়। অবশেষে জুলাইতেই দেহ রাখেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী।