শিল্প ভাবনার ক্ষেত্রে ভাষা কোনো বাধা নয়। ইদানীং একথাই প্রমাণ করেছে গোটা দক্ষিণ ভারতীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। তাই ভারতীয় সিনেমা জগতে এখন সিনেমার নিজস্ব ভাষার সামনে ভেঙে গুঁড়িয়ে গিয়েছে আঞ্চলিক ভাষা সংক্রান্ত সমস্ত বেড়াজাল। তাই ২০১৫ সালে ‘বাহুবলী’ (Bahubali) সিনেমার হাত ধরে রাজকীয় উত্থানের পর থেকে সিনেমাপ্রেমীদের জন্য ব্যাক টু ব্যাক সুপারহিট সিনেমা উপহার চলেছে সাউথ ইন্ডাস্ট্রি।
গত বছরের শেষ দিকে আল্লু অর্জুন অভিনীত পুষ্পা থেকে শুরু করে রাম চরণ, জুনিয়র এনটিআর এর ট্রিপল আর কিংবা অতি সম্প্রতি যশ অভিনীত কেজিএফ চ্যাপ্টার ২,দক্ষিণী সিনেমার দাপট অব্যাহত দেশজুড়ে। সাউথের এই সিনেমা গুলি হিন্দি বলয়ের দর্শকদের দর্শকদের কাছ থেকেও পেয়েছে সাড়া জাগানো সাফল্য। আর এখন তো পারিশ্রমিকের দিক থেকেও বলিউডকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে দক্ষিণের সিনেমা!
সাউথের সুপারস্টার প্রভাসকে (Prabhas) কে না চেনেন। গোটা দেশের কাছে যদিও তিনি বাহুবলী নামেই বেশি পরিচিত। দিনে দিনে জনপ্রিয়তার সাথে সাথে বাড়ছে প্রভাসের আয়ের পরিমাণ। টিনসেল টাউনের অন্দরের খবর এবার পারিশ্রমিকের দিক দিয়েও বলিউডের তিন খানদের সাম্রাজ্যেও থাবা বসাতে চলেছেন প্রভাস। শুধু তাই নয় টাকার অঙ্কের পরিমাণ শুনলেও চোখ কপালে উঠবে যে কারও।
শোনা যাচ্ছে দক্ষিণী সিনেমার রমরমা বাজারে এখন ঝোপ বুঝে কোপ মেরেছেন অভিনেতা। সম্প্রতি আকাশছোঁয়া পারিশ্রমিকের কথা জানিয়ে প্রভাস বলেছেন দেড়শো কোটি টাকা ছাড়া কোনও ছবিতেই কাজ করবেন না তিনি। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী খবর ‘আদিপুরুষ’ ছবির জন্য প্রায় ১৫০ কোটি টাকার পারিশ্রমিক নিয়েছেন প্রভাস।
প্রভাসের এই পারিশ্রমিকের পরিমাণ ছাপিয়ে গিয়েছে বলিউডের খানদের বহুমূল্য পারিশ্রমিককেও। প্রসঙ্গত ছবি পিছু বলিউড বাদশা শাহরুখ খান (Shahrukh Khan) ধার্য করে থাকেন ১০০ কোটি টাকা, অন্যদিকে টাকার পরিমাণটা আরও একটু বাড়িয়ে সলমন খান (Salman Khan) নিয়ে থাকেন ১২৫ কোটি টাকা। তবে বিটাউনের অন্দরের খবর বলিউডের খানদের প্রভাস টেক্কা দিলেও পারিশ্রমিকের দিক দিয়ে প্রভাস কে একমাত্র টেক্কা দিতে পারেন অক্ষয় কুমার (Akshay Kumar)। ছবি পিছু তিনিও নাকি দেড়শো কোটির পারিশ্রমিক ছাড়া রাজি হন না।