দিন কয়েক আগেই বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ ওয়াইন, মাদক আইস, এলএসডি ও মাদক সেবনের সরঞ্জাম রাখার অভিযোগে আটক করা হয় ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী পরিমণিকে (Porimoni)। বুধবার একেবারে নাটকীয়ভাবে টানটান উত্তেজনার মধ্যেই বাংলাদেশের এই অভিনেত্রীকে আটক করে ব়্যাব অর্থাৎ ব়্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান (RAB)। আপাতত ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অধীনে কারাবাসেই রয়েছেন মডেল অভিনেত্রী।
এবার তাকে তদন্তের স্বার্থে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়েই বিপাকে পড়লেন গোয়েন্দা পুলিশের ADC নিজেই। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ জেরার নাম করে অভিযুক্ত পরীমণির সঙ্গে একান্তে ১৮ ঘন্টা সময় কাটিয়েছেন তিনি। এর জেরে তদন্তের দায়িত্ব থেকে বাদ দিয়ে কঠিন শাস্তিও দেওয়া হয়েছে গুলশন বিভাগের এডিসি গোলাম সাকলায়েনকে।
গত মাসে ঢাকার অদূরে তুরাগতীরে বহুল আলোচিত বোট ক্লাব মামলার তদন্তে নেতৃত্বে ছিলেন সাকলায়েন। ব্যবসায়ী নাসিরুদ্দিনের বিরুদ্ধে যখন যৌন হেনস্থার মামলা চলছে তখনই নায়িকা পরীমনির সাথে তার একটি সখ্যতা তৈরি হয়। পরীমণির গ্রেফতারের পর বিষয়টি জানাজানি হয়, ইতিমধ্যেই পরীমণির সঙ্গে সাকলায়েনের একটি সিসিটিভি ফুটেজ ফাঁস হয়। তাদের সম্পর্ক নিয়ে চলছে নানান গুঞ্জন।
ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, রাজাবাগ পুলিশ অফিসার্স কলোনির মধুমতি ভবনের গেটের সামনে ১ লা অগাস্ট সকাল ৮টা ১৫ নাগাদ একটি সাদা গাড়ি এসে থামে। সেখান থেকে নেমে আসেন লাল টি-শার্ট পরিহিত এক ব্যক্তি। এরপর ওই গাড়ি থেকে পরীমণি নামেন সাদা একটি জামা পরে, তার কোলে তখন ছিল একটি কুকুর ছানা। রিসেপশন থেকে চাবী নয়ে দুজনে লিফটে উঠে ঘরের দিকে যান। এর প্রায় ১৮ ঘন্টা পর পরীমণির গাড়ি এসে দাঁড়ায়। এই সময় পরীমণির পরনে ছিল একটি কালো পোশাক।
পরীমণির গাড়ি চালক নাজির হোসেনও গণমাধ্যমের কাছে ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন। তিনি জানান, ”সকালে গিয়ে আমি তাঁকে দিয়ে চলে এসেছিলাম, আবার রাতে গিয়ে ফিরিয়ে নিয়ে এসেছি।” এই ঘটনা জানাজানি হতেই ঢাকা মহানগর পুলিশের (DMP) গোয়েন্দা গুলশন বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. গোলাম সাকলায়েনকে বদলি করা হয়েছে, এবং এই তদন্তের দায়ভার থেকে তাকে ছেঁটে ফেলাও হয়েছে।