সেই যে মার্চে করোনার জেরে লকডাউন শুরু হয়েছে, তার রেশ চলেছে এখনো। দেশে আনলক পক্রিয়াতে ধীরে ধীরে স্বাবাবিক হচ্ছে জনজীবন। এর মধ্যেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসব।
পুজোর আগে কলকাতার বড়বাজার এলাকা যেখানে জমজমাট থাকে সেখানে এবছর বেশ ফাঁকাই যাবে ভেবেছিলেন প্রশাসনের করতে থেকে ব্যবসায়ীরা। কিন্তু আসল জীবনে ঘটল তার উল্টোটাই। কিসের করোনা? কিসের দূরত্ববিধি?এসপ্ল্যানেড পুজোর ভিড়ে বাঙালি নিজের সাহসিকতার নিদর্শন প্রকাশ করল।
মাস্ক হয়তো বা আছে হয়তো বা নেই। থাকলেও কারোর কানের দুল হয়ে গেছে তো কারোর হাতের বালা। ভিড় দেখে পালিয়েছে সোশ্যাল ডিস্টেন্সিং নিজেই। অন্তত ৬ ফুট দূরত্ববজায় রাখার কথা, সেখানে মাছি গলবার ঠায় নেই। এরকমই পুজোর শপিং এর ছবি ভাইরাল হয়েছে শ্রীলেদার্সে।
শ্রীলেদার্সে নাম টা জুতোর জন্য বেশ জনপ্রিয় কলকাতায়। পুজোর শপিং এ শ্রীলেদার্সে স্বাভাবিক ভাবেই ভিড় হয়। এবারেও হল তাই, বিন্দুমাত্র ব্যতিক্রম। শ্রীলেদার্সের এই দৃশ্য দেখে রীতিমত বাকরুদ্ধ ও হতবাক বুদ্ধিজীবীরা।
লেখিকা দেবারতি মুখোপাধ্যায় তার ফেইসবুক পোস্টে শ্রীলেদার্সের ভিড় দেখে লিখেছেন “এ যেন মরলে মরব, তবু খালি পায়ে মরব না। যায় যদি যাক প্রাণ, শ্রীলেদার্সে ঘুরে যান”।
প্রশাসনের শত অনুরোধ সচেতনতার প্রচারের পরেও পুজোর কেনাকাটার জন্য সাধারণ মানুষ ভিড় করছেন।বিশেষজ্ঞদের মতেশীতের শুরুতে করোনার দ্বিতীয় ওয়েভ আসছে, এর আগে UK তে স্প্যানিশ ফ্লু-তেও কোটি কোটি মানুষ মারা গিয়েছিলেন। সুতরাং যারা এই ভাবে করোনা মহামারীকে উপেক্ষা করে পুজোর কেনাকাটা করতে বেড়াচ্ছেন তাদের কাছে বিনীত অনুরোধ ? ক্ষনিকের আনন্দের জন্য এভাবে নিজের ও প্রিয় জনদের জীবন ঝুঁকিতে ফেলবেন না।