• Srabanti Chatterjee Viral Video শ্রাবন্তী
  • অনুরাগের ছোঁয়াঅনুরাগের ছোঁয়া
  • নুসরত জাহান নুসরত
  • ফুলকিফুলকি
  • শুভশ্রীশুভশ্রী
  • ইচ্ছে পুতুলইচ্ছে পুতুল
  • নিম ফুলের মধুনিম ফুলের মধু
  • কার কাছে কইকার কাছে কই

সৃজনকে বাঁচাতে আবারও তার কাটল পর্ণার! পেত্নী সেজে নার্সিংহোমে তাণ্ডব চালাল ‘বাবুউউ’র বৌ

জি বাংলার (Zee Bangla) ‘নিম ফুলের মধু’ (Neem Phooler Madhu) ধারাবাহিকটি নিয়ে দর্শকমহলে চর্চার অন্ত নেই। প্রত্যেকদিন বাস্তবভিত্তিক কিছু না কিছু ঘটনা দেখিয়ে আলোচনার কেন্দ্রে চলে আসেন পর্ণা (Parna), সৃজন (Srijan), কৃষ্ণারা। এখন যেমন সিরিয়ালে নার্সিংহোমে জোচ্চুরির ট্র্যাক দেখানো হচ্ছে। সিটিলাইট নার্সিংহোমের (Citylight nursing home) কারচুপি ফাঁস করার লক্ষ্যে ছদ্মবেশ ধারণ করেছে সৃজন-পর্ণারা।

অনিমেষের অ্যাক্সিডেন্ট হওয়ার পর পর্ণা জানতে পারে বেসরকারি সিটিলাইট নার্সিংহোম রোগীদের পরিবারকে ঠকিয়ে তাঁদের থেকে টাকা নিচ্ছে। এরপরই নার্সিংহোমের পর্দা ফাঁস করার ফন্দি আঁটে সে। স্বামীকে বৃদ্ধ সাজিয়ে সিটিলাইটে নিয়ে যায় পাড়ার ছেলেরা। এরপর সেই নার্সিংহোমের চিকিৎসক ডাঃ বসু তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। কিন্তু এরপরই বাবুকে মর্গের ফ্রিজারে ভরে দেওয়া হয়।

   

Neem Phooler Madhu, Srijan and Parna

সৃজনকে যে মর্গের ফ্রিজারে ভরে দেওয়া হবে তা কল্পনাও করেনি পর্ণা। সঙ্গে সঙ্গে সে নার্সের বেশ ধারণ করে মর্গে উপস্থিত হয়। সেখানে সৃজনের নাম নিয়ে চিৎকার করে ডাকতে থাকে সে। তখন তাঁকে থামিয়ে ডাঃ বসু বলেন, ফ্রিজারের ভেতরে থেকে বাবু উত্তর দিতে পারবে না। এরপর ডাঃ বসুর আনা ফ্রিজারের চাবি দিয়ে একটি ফ্রিজার খোলে সে। সেখানে একটি মৃতদেহ দেখে বমি করতে শুরু করে পর্ণা।

এরপর নিজেকে সামলে পরের ফ্রিজার খুলতেই সেখানে সৃজনকে দেখতে পায় পর্ণা। কিন্তু স্বামীর হাত-পা তখন বরফের মতো ঠাণ্ডা হয়ে গিয়েছে। ডাঃ বসু জানান, বাবুর শরীর জমে গিয়েছে। অবস্থা প্রচণ্ড সিরিয়াস। এরপর ফ্রিজার থেকে সৃজনকে বের করে তাঁর দেহ গরম করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু কিছুক্ষণ পর ডাঃ বসু জানান, সৃজনের হৃদযন্ত্র কাজ করছে না।

Neem Phooler Madhu, Parna as ghost

একথা শুনেই ভেঙে পড়ে পর্ণা। সে বারবার তাঁর হাত ঘষতে থাকে। তখনই নড়ে ওঠে সৃজন। ডাঃ বসু সেই বিষয়টি দেখে সৃজনকে সিপিআর দেয়। এরপরই মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে বেঁচে ওঠে বাবু। এরপর স্বামীকে নিয়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাড়ি ফেরার কথা বলে পর্ণা। কিন্তু বেঁকে বসে সৃজন নিজে। সে এই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে শাস্তি দিতে চাই। তবে তাঁদের কাছে প্রয়োজনীয় প্রমাণ নেই। সেই জন্য পর্ণাকে প্ল্যান করতে বলে।

পর্ণা জানতো, নার্সিংহোমের অ্যাডমিন ঈশ্বরে বিশ্বাস করে। সেই জন্য ডাঃ বসুর সঙ্গে হাত মিলিয়ে সে তাঁকে ভূত সেজে ভয় দেখানোর ফন্দি আঁটে। এই প্ল্যানে বর্ষা, চয়ন, রুচিরা সহ পাড়ার বাকি লোকেরা বাবু এবং বাবুর বৌকে সাহায্য করে। এরপরই পেত্নী সেজে নার্সিংহোমে এন্ট্রি নেয় পর্ণা। এবার এটাই দেখার, পেত্নী সেজে সুপ্রকাশকে কীভাবে শায়েস্তা করে সে।