আজও মানুষের মণিকোঠায় সযত্নে তুলে রাখা আছে TVF এর পঞ্চায়েত (Panchayet) সিজনটি। সারল্যে ভরা গ্রাম্য জীবনের ওমন সুন্দর চিত্র, শহুরে মেধাবী ছেলের সেই খানে গিয়ে মানিয়ে নেওয়া, তার সংগ্রাম এসবই দর্শকদের চোখে লেগে রয়েছে। দীর্ঘ কয়েক বছর সারা ভারতবাসী অপেক্ষারত ছিলেন সিরিজটির দ্বিতীয় সিজনের জন্য৷ অবশেষে সকলের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে সম্প্রতি অ্যামাজন প্রাইম ভিডিও (Amazon Prime Video) ওটিটি মাধ্যমে মুক্তি পেয়েছে পঞ্চায়েত ২ (Panchayet 2)।
সিরিজ মুক্তির নির্ধারিত দিন ছিল ২০ শে মে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে মুক্তির দিনের আগেই টেলিগ্রাম এবং অন্যান্য পাইরেটেড ওয়েব সাইটে ফাঁস হয়ে যায়। তাই তরিঘরি নির্ধারিত দিনের দুই দিন আগেই মুক্তি পায় পঞ্চায়েত ২। অপেক্ষা যেন সার্থক। প্রথম সিজনের মতই এই সিজন দর্শকদের মনে দাগ কেটেছে। বরাবরের মতোই পঞ্চায়েত সচীব জির ভূমিকায় দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন জিতেন্দ্র কুমার ওরফে জিতু ভাইয়া।
তুখোড় মেধাবী এই ছেলে চাকরি সূত্রে ধ্যাড়ধ্যাড়ে গোবিন্দপুরে পোস্টিং। উত্তর প্রদেশের বালিরার অন্তর্গত সেই গ্রামের নাম ফুলেরা। সেখানেই তার জীবন যাত্রা নিয়ে সিরিজের গল্প এগিয়েছে। জিতুর সাথে সিরিজে যোগ্য সংগত দিয়েছেন ফয়সাল মালিক, নিনা গুপ্তা এবং রঘুবীর যাদবের মত অভিনেতারা।
একটি পঞ্চায়েতের কাহিনী নিয়েই তৈরি হয়েছে সিরিজ। তবে এই কাহিনী পুরোটা কাল্পনিক নয়। বাস্তবেও কিন্তু এমন পঞ্চায়েত রয়েছে। আসলে পর্দার গল্পরা তো আসলে বাস্তবেই কোথাও না কোথাও ঘটে চলেছে৷ পঞ্চায়েত সিরিজের শুটিং গ্রামেই হয়েছে বটে তবে সেটা উত্তর প্রদেশের ফুলেরায় নয় শ্যুটিং হয়েছে, মধ্যপ্রদেশের সিহোর এর মহোড়িয়া গ্রামে।
আজ এই প্রতিবেদনে সেই মহোড়িয়া গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান, সচীবজি, এবং তার সহকর্মীদের পরিচয় জানাব৷ সিরিজে গ্রামের মহিলা মোড়লের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন নীনা গুপ্তা, আর বাস্তবে গ্রামের মোড়ল হলেন, রাজকুমারী সিসোদিয়া। পঞ্চায়েতের সচিবের নাম হরিশ যোশী এবং সহায়ক হলেন প্রতাপ সিং।এই গ্রামেই দুটো সিজনের শ্যুটিং হয়েছে পঞ্চায়েতের। বাস্তবে যা হয় তাই সিরিজে দেখানো হয়েছে৷ প্রায় ১৫০ টা গ্রাম ঘুরে নির্মাতারা এই গ্রামটি খুঁজে পান৷