এই মুহূর্তে বাংলা টেলিভিশনে সম্প্রচারিত অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং চর্চিত একটি ধারাবাহিক (Bengali serial) হল ‘পঞ্চমী’। নাগ-নাগিনীদের অতিলৌকিক কাহিনী নিয়ে শুরু হওয়া এই ধারাবাহিকটির জনপ্রিয়তা দেখার মতো। পঞ্চমী (Panchami) এবং কিঞ্জলের (Kinjal) জুটিটাও দর্শকদের বেশ পছন্দের। এবার এই সিরিয়ালেই আসছে একেবারে টানটান উত্তেজনার পর্ব।
‘পঞ্চমী’র নিয়মিত দর্শকরা জানেন, পঞ্চমী এতদিন নিজের আসল পরিচয় জানত না। কিঞ্জলের সাপের ফাঁড়া কাটানোর জন্য তাঁর বউ হয়ে এসেছিল সে। কিন্তু এখন সে জানতে পারে, সে নিজেই একজন ইচ্ছাধারী নাগিন।
এই ধারাবাহিকের শুরুতেই দেখানো হয়েছিল, পঞ্চমীর জন্মের সঙ্গেই মৃত্যু হয় তাঁর মায়ের। সেও ছিল একজন ইচ্ছাধারী নাগিন। মৃত্যুর সময় নীলকণ্ঠ মন্দিরের পুরোহিতের কাছে মেয়েকে দিয়ে যায় পঞ্চমীর মা। এরপর থেকে পুরোহিত মশাই এবং তাঁর স্ত্রী’ই পঞ্চমীকে মানুষ করেছে।
তবে মৃত্যুর সময় পঞ্চমীর মা বলে গিয়েছিল, তাঁর মৃত্যুর প্রতিশোধ মেয়েকে নিতে হবে। একজনের বুকে জরুল রয়েছে এবং আর একজনের গলায় রয়েছে শঙ্খের মালা। ঘটনাচক্রে এই শঙ্খের মালা রয়েছে কিঞ্জলের গলাতেই। ওদিকে আবার পূর্ণিমার আলো পঞ্চমীর গায়ে পড়তেই তাঁর নাগিন রূপ প্রকাশ্যে আসে। নাগ মাতাও তাঁকে সমস্ত সত্যিটা বলে তাঁর স্বরূপ দেখিয়ে দেয়।
প্রথমে নিজের আসল সত্যি জানার পর পঞ্চমী বুঝতে পারেনি সে এবার কী করবে! সাপ হিসেবে নিজেকে দেখে অবাক হয়ে যায় সে। কিন্তু এবার ধারাবাহিকে আসতে চলেছে ধামাকেদার মোড়। সম্প্রতি ‘পঞ্চমী’র একটি প্রোমো প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, নব দম্পতি পঞ্চমী এবং কিঞ্জলের জন্য ঠাম্মি ফুলশয্যার ফহরে সাজাচ্ছে। কিন্তু সাপ হয়ে যাওয়ার পর থেকে পঞ্চমীকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। স্বাভাবিকভাবেই কিঞ্জল তাই চারিদিকে বউকে খুঁজছে।
ওদিকে আবার পঞ্চমী লুকিয়ে ছিল কিঞ্জলের ঘরের মধ্যেই। কিঞ্জল ঘরে ঢোকা মাত্রই সে সাপ হয়ে তাঁকে ছোবল মারতে আসে। সেই সময়ই আবার কিঞ্জল ঘুমের ঘোরে মধ্যে বলে ওঠে, আপনি এলেন পঞ্চমী? যা শোনার পর পঞ্চমী আবার বলে, যে মানুষটা ঘুমের ঘোরেও আমার নাম নিচ্ছে আমি তাঁকে কীভাবে ছোবল মারব নীলকণ্ঠ? ধারাবাহিকের এই নতুন প্রোমো দেখার পর দর্শকদের মনে প্রশ্ন জেগেছে, পঞ্চমী কি কিঞ্জলকে ছোবল মারবে নাকি কিঞ্জলের ভালোবাসা দেখে বদলে যাবে তাঁর সিদ্ধান্ত? এবার দেখার শেষ পর্যন্ত কোন দিকে মোড় নেয় ধারাবাহিকের গল্প।