গতকাল অর্থাৎ রবিবার সকাল থেকেই শোকের ছায়া বাংলা বিনোদন জগতে। গড়ফার ফ্ল্যাট থেকে টেলিভিশন অভিনেত্রী পল্লবী দে (Pallavi Dey)-র মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে চারদিকে। তারপর থেকেই ক্রমশ টেলি অভিনেত্রীর মৃত্যু ঘিরে একের পর নিত্যনতুন রহস্য দানা বাঁধছে।পল্লবীর মৃত্যুর পর থেকে একের পর এক উঠে আসছে নিত্যনতুন চাঞ্চল্যকর তথ্য। পল্লবীর বাবা গতকালই জানিয়েছেন তার মোটেই আত্মহত্যা করেনি।
ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে পল্লবীর ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট। প্রাথমিক সেই রিপোর্টে আত্মহত্যার ইঙ্গিত থাকলেও পল্লবীর বাবার অভিযোগ তার মেয়েকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে।এমনকি পল্লবীর মৃত্যুর পিছনে যেভাবে তার মানসিক অবসাদগ্রস্ততায় ভোগার কথা বলা হচ্ছিল তাও অস্বীকার করেছেন পল্লবীর বাবা। তার দাবি তার মেয়ে অত্যন্ত হাসি খুশি প্রাণবন্ত। তাছাড়া তাঁর হাতে একের পর এক নতুন প্রজেক্টে কাজের অফারও ছিল। প্রসঙ্গত গতকাল পল্লবীর প্রেমিক সাগ্নিককে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করার পর ছেড়ে দেওয়া হয়।
কারণ তখনও পর্যন্ত পল্লবীর পরিবারের তরফে তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।পল্লবীর মৃত্যুর জন্য তাঁর পরিবারের তরফে কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে তাঁর প্রেমিক সাগ্নিক চক্রবর্তীকে (Sagnik Chakraborty)। পল্লবীর পরিবারের দাবি পল্লবীর সাথে তার প্রেমিকের জয়েন্ট ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ছিল। সেখানে তাদের দুজনের নামে মোট ১৫ লক্ষ টাকার ফিক্সড ডিপোজিট ছিল। এছাড়াও পল্লবীর একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে যার নমিনী ছিলেন সাগ্নিক।
এছাড়া সম্প্রতি সাগ্নিক আর তাঁর বাবার নামে নিউটাউনে ৮০ লাখ টাকা দিয়ে একটা ফ্ল্যাট কিনেছিলেন। পল্লবীর পরিবারের দাবি সেসময় মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে সাগ্নিক কে সাহায্য করেছিলেন পল্লবী। এছাড়া একটি দামি গাড়িও কিনেছিলেন সাগ্নিক, এই গাড়ি কিনতেও নাকি প্রেমিককে সাহায্য করেছিলেন পল্লবী।সবকিছুর EMI ভরতেন অভিনেত্রী। এখানেই শেষ নয় এই আর্থিক দিকটির পাশাপাশি পল্লবীর লিভ পার্টনার প্রসঙ্গে উঠে এসেছে আরও বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য।
জানা যাচ্ছে একমাসও হয়নি গড়ফার ফ্লাটে পল্লবী আর সাগ্নিক লিভ করছিলেন। বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত এই সাগ্নিক চক্রবর্তীর নাকি আগেও একজনের সাথে রেজিস্ট্রি ম্যারেজ হয়েছিল। তার সাথে আইনত ছাড়াছাড়ি হওয়ার পরেই নাকি গতবছর বিয়ের পরিকল্পনা ছিল এই জুটির। কিন্তু ইদানীং তাদের মধ্যে নাকি খুঁটিনাটি বিষয়ে অশান্তি লেগেই থাকতো। এ প্রসঙ্গে ফ্যাটের কেয়ার টেকার জানিয়েছেন তাদের মধ্যে, ঝগড়া হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছত। জানা সমস্ত তথ্য প্রমাণ নিয়ে পল্লবীর পরিবারের তরফে আজই গড়ফা থানায় ‘আত্মহত্যার প্ররোচণার’র অভিযোগ দায়ের করা হবে।