সময় যতই এগোচ্ছে ক্রমেই ঘনাচ্ছে রহস্য। রবিবার পল্লবীর (Pallabi Dey) মৃত্যুর পর থেকে লাগাতার পুলিশি জেরার মুখে পড়েছেন, অভিনেত্রীর ‘প্রেমিক’ সাগ্নিক চক্রবর্তী (Sagnik Chakraborty)। কখনও পড়েছেন ভেঙে, কখনও তার মুখ থেকে উঠে আসা তথ্যতেই বেড়েছে রহস্যের পারদ৷ সাগ্নিকের দাবি, ঋণে জর্জরিত হয়ে অবসাদের কারণের আত্মহত্যার পথে হেঁটেছিলেন ‘সিরাজের বেগম’। কিন্তু মৃত অভিনেত্রীর বাবা নীলু দে’র দাবি, আত্মহত্যা নয় নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে তাঁর মেয়েকে৷
সোমবার সকালে, এই দাবি নিয়েই গরফা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন অভিনেত্রীর বাবা। শুধু সাগ্নিক নয় তার বিশেষ বান্ধবী ঐন্দ্রিলা মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে থানায়৷ যদিও সেই অভিযোগকে কার্যত উড়িয়ে দিয়েছেন ঐন্দ্রিলা। তার দাবি, পল্লবীর সূত্রেই তিনি সাগ্নিককে চিনতেন এবং একবারই দেখা হয়েছিল তাদের। এর চেয়ে বেশি সাগ্নিকের সাথে কোনোও যোগাযোগই ছিলনা তার।
পল্লবীর বাবা আরও জানান, প্রেমিক সাগ্নিককে মাঝেমধ্যেই দামি দামি উপহার দিত তার মেয়ে৷ কখনও অডি গাড়ি, কখনও দেড় লাখের ল্যাপটপ লেগেই থাকত উপহার দেওয়ার পালা। তবুও মেয়ের ভালোবাসার মান রাখেননি সাগ্নিক। সম্পর্কে থাকাকালীন ঐন্দ্রিলার সঙ্গে রাত কাটানোর মতো অভিযোগও উঠে এসেছে মৃত অভিনেত্রীর প্রেমিকের বিরুদ্ধে৷
নানাবিধ অভিযোগের ভিত্তিতে গড়ফা থানায় কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনারের সামনেই গভীর রাত পর্যন্ত জেরা করা হয় সাগ্নিককে৷ সেখানেই চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য উঠে আসে। পল্লবীর বাবার দাবি, অন্য এক তরুণীর সঙ্গে সম্পর্কে থাকতে চেয়েই মেয়েকে ঠান্ডা মাথায় খুন করে এই যুবক। পুলিশ সূত্রে খবর, গিয়েছে পল্লবী ও সাগ্নিক মিলে কিছু সম্পত্তি কিনেছিলেন। সেখান থেকেই কোনও নতুন ঝামেলার সূত্রপাত হয়েছিল কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।