বাংলার সুপারস্টার প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Prosenjit Chatterjee)। সময়ের সাথে ইন্ডাস্ট্রির তো বটেই সেইসাথে ইন্ডাস্ট্রির বাইরেরও অনেকের কাছেই অভিভাবক হয়ে উঠেছেন তিনি। ছোটো থেকেই সেই অভিভাবকের ছায়াতেই বড় হয়ে উঠেছেন বোন পল্লবী চট্টোপাধ্যায় (Pallabi Chatterjee)। তাই দাদা আজ দেশের নামী দামী তারকা হয়ে উঠলেও দাদার কাছে আবদার আজও একইরকম।
উল্লেখ্য এখন অনেকেই বলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ইন্ডাস্ট্রির দাদা। এই যে সবার দাদা, এই কথাতেই আপত্তি তাঁর বোন পল্লবীর।কারণ হিসাবে তিনি জানিয়েছেন ‘ও এমন একজন নায়ক যাঁকে নিয়ে একই বাড়ির বিভিন্ন প্রজন্ম স্বপ্ন দেখে, ওর ইমেজ সবসময়ই রোমান্টিক। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মানুষ ওকে নানা ইমেজে দেখেছে কিন্তু দাদা শুধু আমার।’
একথা সকলেই জানেন, ইন্ডাস্ট্রিতে যাঁর যখন প্রয়োজন হয়েছে সকলেই পাশে পেয়েছেন তাঁকে। দীর্ঘ স্ট্রাগলই তাঁকে নায়ক থেকে আজকের ইন্ডাস্ট্রির জায়গা এনে দিয়েছে। বর্ষীয়ান অভিনেতা বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সন্তান হলেন প্রসেনজিৎ আর পল্লবী। রক্তের সম্পর্কের জোরে বরাবরই তাই দাদার প্রতি একটু বেশিই অধিকারবোধ ছিল পল্লবীর।
আজ বাংলা ইন্ডাস্ট্রির মহাতারকা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ৫৯ বছরে পা দিয়েছেন। আর আজ দাদার জন্মদিনে বোন পল্লবীর মনে ভীড় করেছেছোটো বেলার নানান নস্টালজিয়া। সেই স্মৃতি চারণা করে সংবাদমাধ্যমে এদিন তিনি জানান তাঁর জন্মদিন পড়ত উৎসবের সময় তাই তাঁর জন্মদিন পালন করা না হলেও তাঁর দাদার জন্মদিন পালন করা হত।
আর নজর থাকতো গিফ্ট পাওয়া টকলেট বক্সের দিকে। পল্লবীর কথায় ‘ বাকি উপহার নিয়ে আমার কোনও ইন্টারেস্ট ছিল না। কিন্তু নজর থাকত চকলেটের উপর। আমি উপহারের মধ্যে থেকে চকলেট বাক্সগুলো নিয়ে নিতাম। আমি ভাবতাম ওগুলো আমারই। চকলেটের উপর শুধু আমারই অধিকার। আমার মা সারাজীবন বলত, বাড়িতে যা কিছু আসবে তা দুভাগে ভাগ করা হবে।’ সেইসাথে তিনি জানান ‘সময়টা বদলে গেছে। ওগুলো এখন খুব মিস করি, মাঝে মাঝেই আমরা পুরনো স্মৃতি রোমন্থন করি।’