‘পালকিতে বউ চলে যায় ‘ (Palkite Bou Chole Jai) এই গানটা অনেকেরই চেনা। বিশেষত ৯০ এর দশকের ছেলেমেয়েদের কাছে বিয়ে বাড়ির হিট গান এটাই। গানটি সংগীত শিল্পী মিতা চট্টোপাধ্যায়ের (Mita Chattopadhyay) গাওয়া, আর এই গানের জেরেই ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন তিনি। এমনকি তিন দশক পরেও আজও এই গানের জনপ্রিয়তা কমেনি। গায়িকা এরপরেও একাধিক অ্যালবামে গান গেয়েছেন, তবে তার সবচাইতে জনপ্রিয় গান ছিল এটি।
বিখ্যাত এই গানটির রিলিজের পিছনেও একটি মজার কাহিনী রয়েছে। গানটি প্রথমবার রিলিজ করার পরেই হিট করেনি। বরং প্রথমবার যখন ‘পালকিতে বউ চলে যায়’ গানটি রিলিজ হয় তখন সেভাবে জনপ্রিয়তা মেলেনি। এর সাত বছর পর আবারো নতুন করে রিলিজ করা হয় গানটিকে। আর দ্বিতীয়বার রিলিজের প্রিয় শ্রোতাদের মনে দাগ কেটে যায় এই গান। সেই থেকেই আজও জনপ্রিয় হয়ে রয়ে গিয়েছে গানটি।
শুরুর দিকে নিজের গানের জন্য নয় বরং আশাকন্ঠী হিসাবে বেশ পরিচিত ছিলেন গায়িকা। সেই থেকেই গানের জগতে কেরিয়ার শুরু। আশা ভোঁসলের গান জনপ্রিয়তা এনে দিলেও তাঁর নিজস্ব পরিচিতি তৈরী হচ্ছিলো না। বাড়ির লোকও একসময় বলতে শুরু করে নিজের মত করে গান লেখার। সেই মত ১৯৯৩ সালে একটি মিউজিক কোম্পানির তরফ থেকে ‘পালকিতে বউ চলে যায়’ রিলিজ করেন মিতা চট্টোপাধ্যায়।
দুৰ্ভাগ্যবশত সেই প্রথমবার বেরোনোর পর গান সেভাবে ছুঁতে পারেনি শ্রোতাদের। এমনকি যে মিউজিক কোম্পানি থেকে রেকর্ডিং করা হয়েছিল সেটিও বন্ধ হয়ে যায়। এভাবেই সাত বছর কেটে যাবার পর অন্য একটি মিউজিক কোম্পানি এই গানের পুনঃ রিলিজের ব্যবস্থা করেন। আবারও নতুন করে গানের রেকর্ডিং সারেন মিতা। কিন্তু এবারে আর হতাশা নয়, বরং দীর্ঘ সাত বছরের কাঙ্খিত প্রশংসা আর শ্রোতাদের ভালোবাসায় ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় গানটি।
গান সুপারহিট হবার পর আশাকন্ঠী নয়, মিতা চট্টোপাধ্যায় হিসাবেই পরিচিতি পেতে শুরু করেন গায়িকা। যে আশা ভোঁসলের গান গেয়ে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন গায়িকা তাঁর সাথে একবার এক অনুষ্ঠানে সাক্ষৎ করেছিলেন। আর সেই সাক্ষাৎকারের দিন চিরকালের মত স্মরণীয় গায়িকার কাছে। সেখানে আশাজীকে দেখে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন গায়িকা। তাকে আশীর্বাদ করেন আশাজী।