বলিউডের প্রথম মহিলা সুপারস্টার শ্রীদেবী (Sridevi)।একটা সময় ছিল যখন তিনি ছিলেন বলিউডের হায়েস্ট পেড নায়িকা। ২০১৮ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি তাঁর অকাল প্রয়াণে কার্যত শ্রী-হীন হয়ে পড়ে গোটা হিন্দি সিনেমা জগত। দীর্ঘ অভিনয় জীবনে নিজের বলিষ্ঠ অভিনয় দক্ষতা আর সৌন্দর্য দিয়ে সকলের মন জয় করে নিয়েছিলেন তিনি। তাই আজ তিনি আমাদের মধ্যে না থাকলেও তিনি তার কাজের মধ্যে দিয়ে আজও ভক্তদের মনের মধ্যে বেঁচে আছেন তিনি।
বলিউডে শ্রীদেবীর হাতেখড়ি হয়েছিল ‘ষোলভা সাওয়ান’ ছবির মাধ্যমে। যদিও সেসময়, সিনেমাটি বক্স অফিসে বাজেভাবে ফ্লপ করেছিল।পরে অবশ্য একের পর এক হিট ছবি উপহার দিয়ে দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছিলেন শ্রীদেবী।যার কারণে কোটি কোটি মানুষ তার জন্য পাগল হয়ে উঠেছিলেন। আজও তাঁর রুপের জাদুতে মুগ্ধ গোটা দেশ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য শুধু ভারতেই নয় পাকিস্তানেও (Pakistan) ছিল অসংখ্য শ্রীদেবী ভক্ত। জানা যায় এমন একটা সময় ছিল যখন এদেশের মানুষের থেকেও পাকিস্তানের মানুষরা অনেক বেশি শ্রীদেবীর সিনেমা মুক্তির অপেক্ষায় থাকতেন। জানা যায় শ্রীদেবী তাঁর ক্যারিয়ারের প্রথম দিকে,ভারতের পাশাপাশি পাকিস্তানেও অসাধারণ ফ্যান ফলোয়িং অর্জন করেছিলেন।
তবে আশ্চর্যের বিষয় হল পাকিস্তানের লোকেরা গোপনে শ্রীদেবীর ছবি দেখতেন। কারণ প্রেসিডেন্ট জেনারেল জিয়া-উল-হকের শাসনকালে পাকিস্তানে ভারতের ছবিগুলো বন্ধ ছিল। এমনকি দেখাটা অপরাধ হিসেবে গণ্য হতো। এই কারণেই পাকিস্তানের মানুষ ভারতের ছবি দেখতেন না। শ্রীদেবীর ছবি দেখতে গিয়ে কেউ ধরা পড়লে তাকেও শাস্তি পেতে হতো।
পাকিস্তানে ভারতীয় ছবি দেখা নিষিদ্ধ ছিল, কিন্তু নিষিদ্ধ হওয়ার পরেও কলেজের ছেলেরা শ্রীদেবীর ছবি দেখত। শুধু তাই নয়, সিনেমা দেখার সময় সবাই হোস্টেলের সব দরজা-জানালা খোলা রাখতেন, যাতে শব্দ বাইরে পুলিশ পোস্টে যায়। এটা ছিল তার প্রতিবাদের অভিনব উপায়। জানা যায় পাকিস্তানে ভারতীয় সিনেমা দেখতে গিয়ে কেউ ধরা পড়লে তাকে তিন থেকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হত।