বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেতা ঋষি কাপুর (Rishi Kapoor)। এক বছর অতিক্রান্ত তিনি প্রয়াত হয়েছেন। কিন্তু পরেও আজও তিনি দর্শক মনে জীবিত তার অভিনয়ের জন্য। কয়েক যুগ পেরিয়ে আজও তিনি বলিউডের অন্যতম চকলেট বয়। বাবা রাজ কাপুরের (Raj Kapoor) হাত ধরে ১৯৭০ সালে ‘মেরা নাম জোকার’ (Mera Naam Joker) সিনেমা দিয়েই অভিনয় জগতে হাতেখড়ি হয়েছিল তার। এরপর থেকে একের পর এক হিট সিনেমা উপহার দিয়ে গিয়েছেন তিনি।
ঋষি কাপুরের কেরিয়ারের এমনই একটি হিট সিনেমা হল ১৯৮২ সালের ‘প্রেমরোগ'(Prem Rog) । রাজ কাপুর পরিচালিত এই ব্লকবাস্টার সিনেমায় ঋষি কাপুরের বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন তৎকালীন জনপ্রিয় অভিনেত্রী পদ্মিনী কোলাপুরী(Padmini Kolhapure)। জানা যায় এই ছবির শ্যুটিং চলাকালীন পদ্মিনী ৭-৮ বার ঋষি কাপুরকে কষিয়ে চড় মেরেছিলেন। তাও আবার ঋষি কাপুরের বাবা তথা কিংবদন্তি পরিচালক রাজ কাপুরের সামনেই।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এপ্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী পদ্মিনী নিজেই। তিনি জানান ‘ছবিতে চিন্টু (ঋষি)-কে একটি চড় মারার দৃশ্য ছিল আমার। অনেকসময় যেটা হয়, তা হল সত্যিকারের চড় অভিনেতারা মারেন না। অভিনয় এবং ক্যামেরার কারসাজিতে ফাঁকিটা পর্দায় ধরা পড়ে না। কিন্তু সেই ছবির শ্যুটিংয়ে ব্যাপারটা আলাদা ছিল।’
জানা যায় পরিচালক তথা ঋষি কাপুরের বাবা রাজ কাপুরেরই নির্দেশে ছিল তাকে চড় মারতে হবে। এপ্রসঙ্গে বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর সংযোজন ‘অগত্যা উপায় না দেখে আলতো করেই মারা শুরু করলাম। ফের বাধা পেলাম। এবারে চিৎকার করে পরিচালকের থেকে নির্দেশ এল, এরকম আলতো করে একদম নয়। আরও জোরে!’ বেগতিক দেখে ঋষিও সায় দিলেন এই কথায়। অগত্যা আমিও মারা শুরু করলাম চড়’।
তবে একবার নয় সাত থেকে আটবার চড় মেরেছিলেন তিনি। বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর কথায়, ‘আমার ঠিক মনে নেই কেন। তবে কখনও আলোর সমস্যা হচ্ছিল, কখনও বা টেকনিক্যাল। আবার ক্যামেরার সমস্যাও হতে পারে। শটখানা উৎরে যাওয়ার পরে ভেবেছিলাম ঋষির জায়গায় যদি আমি থাকতাম, তাহলে কী হতো?’