রবিবার ছিল জনপ্রিয় রিয়্যালিটি শো ‘সারেগামাপা’র (SaReGaMaPa) গ্র্যান্ড ফিনালে। শেষ পর্যন্ত সবাইকে হারিয়ে বিজেতার খেতাব জিতেছে পদ্মপলাশ হালদার (Padma Palash Halder) এবং অস্মিতা কর (Ashmita Kar)। যদিও শোয়ের এই ফলাফলে একেবারেই খুশি নয় দর্শকদের একটি বিরাট অংশ। ‘সারেগামাপা’র ফলাফল নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। সামাজিক মাধ্যমেও উঠেছে বিতর্কের ঝড়। কারণ দর্শকদের একাংশের মতে, পদ্মপলাশ নয়, বরং জয়ী হওয়া উচিত ছিল অ্যালবার্ট কাবোর।
দর্শকদের একটি বিপুল অংশের মতে, কীর্তন ছাড়া অন্য কোনও গান খুব একটা ভালো মানায় না পদ্মপলাশের গলায়। সেদিক থেকে যদি দেখা হয়, তাহলে কাবো অনেক বেশি ভার্সেটাইল গায়ক। নেটিজেনদের একাংশের আবার দাবি। পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী ‘শ্রুতিনন্দন’এর ছাত্র হওয়ার জন্যই পদ্মপলাশ ‘সারেগামাপা’র বিজেতা হয়েছেন। জি বাংলার এই শোয়ের বিরুদ্ধে উঠেছে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ।
একদিকে যখন ‘সারেগামাপা’র বিজয়ী বিতর্কে উত্তাল নেটপাড়া, তখন পদ্মপলাশকে নিয়ে একটি পোস্ট করলেন অনল চট্টোপাধ্যায় (Anol Chatterjee)। প্রতিভাবান এই সঙ্গীশিল্পী ‘শ্রুতিনন্দন’এ গান শেখান। তাঁর গাছেই গত ১২ বছর ধরে তালিম নিয়েছেন ‘সারেগামাপা’র বিজেতা। ছাত্র বিজয়ী হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই প্রচণ্ড খুশি হয়েছেন অনলবাবু।
পদ্মপলাশের সঙ্গে ছবি শেয়ার করে তাঁর গানের গুরু লিখেছেন, ‘পদ্মপলাশ আজ থেকে বারো বছর আগে যখন আমার কাছে গান শিখতে এসেছিল, ওঁর বাবার সঙ্গে, সেদিনই লক্ষ্য করেছিলাম, খুব ভালো সাঙ্গীতিক বীজ তো ওঁর মধ্যে আছেই। তার সাথে সাথে আরও কতগুলো বিশেষ গুণ, যে গুণগুলো মানুষকে বহুদূর এগিয়ে নিয়ে যায়। সেগুলো হল শ্রদ্ধা, বিনয়, সরলতা, বিচক্ষণতা এবং পরিমিতিবোধ’।
দীর্ঘ পোস্টের শেষে অনলবাবু লিখেছেন, ‘‘সারেগামাপা’য় যোগ দেওয়ার ঠিক আগের দিন ও বাড়ি এসেছিল প্রণাম করতে। নীচের ছবিটা সেদিনই তোলা। আমার পূর্ণ বিশ্বাস ছিল ও চ্যাম্পিয়ন হয়েই ফিরবে। সেদিনই পোস্ট করব…। পদ্মপলাশ এই বছর ‘সারেগামাপা’ইয় অস্মিতার সঙ্গে যুগ্ম বিজয়ী হয়েছে। ওঁকে আপনারা প্রাণ ভরে আশীর্বাদ করুন’।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের জুন মাসে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তের সঙ্গীতশিল্পীদের নিয়ে শুরু হয়েছিল ‘সারেগামাপা’র পথচলা। সবাইকে টেক্কা দিয়ে শেষ পর্যন্ত ফাইনালে পৌঁছেছিলেন ৬ জন। পদ্মপলাশ, অস্মিতা এবং কাবোর সঙ্গেই ফিনালেতে পৌঁছেছিলেন ঋদ্ধিমান, বুলেট এবং সোনিয়া। শেষ পর্যন্ত ৪জনকে পরাজিত করে জয়ী হন পদ্মপলাশ এবং অস্মিতা। এরপর থেকেই সামাজিক মাধ্যমে শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক। ফিনালের পর প্রায় ১ দিন পেরিয়ে গেলেও কিন্তু সেই বিতর্ক থামার নাম নেই।