জি বাংলার (Zee Bangla) সারেগামাপা (Saregamapa) এর দৌলতে পদ্ম পলাশ (Padma Palash) নামটা সকলের কাছেই বেশ পরিচিত হয়ে গিয়েছে। অবশ্য একা নয় অস্মিতা করে সাথে যুগ্ম বিজেতা হয়েছে পদ্ম পলাশ। মঞ্চে কীর্তনের পাশাপাশি সমস্ত রকমের গানেই নিজেকে প্ৰমাণ করেছে সে। আর বিজেতা হয়েই নিজের বহুদিনের স্বপ্ন পূরণ করে ফেললেন পদ্ম পলাশ।
বিজয়ী হওয়ায় বড়সড় পুরস্কার পেয়েছে পদ্ম পলাশ ও অস্মিতা দুজনেই। সাত লক্ষ টাকা, সোনার নেকলেসের পাশাপাশি নতুন গাড়িও পেয়েছেন পুরস্কার হিসাবে। তবে এক গাড়ি জেতার পর আরও একটি গাড়ি কিনে ফেললেন পদ্ম পলাশ। অবশ্য এটা পুরস্কারের টাকায় নয়। নিজের উপার্জন করা টাকা দিয়েই কেনা নতুন গাড়ি। যে কারণে এটা অনেকটাই স্পেশাল তাঁর কাছে।
সোশ্যাল মিডিয়াতে নতুন গাড়ির ছবি শেয়ার করে পদ্ম পলাশ লিখেছেন, ‘ পরিবারের এই সদস্যের জন্য অপেক্ষায় ছিলাম। ইনোভা ক্রিস্টা, না এটা উপহার পাওয়া নয়, নিজের রোজগারের টাকায় কেনা’। জানিয়ে রাখি, মোট ৭টি আসনের এই গাড়ির দাম ১৮ লক্ষ টাকা। জীবনের এত বড় একটা স্বপ্ন পূরণ করে পদ্ম পলাশ যেমন খুশি, তেমনি তাঁর সাফল্য দেখে খুশি ভক্তরাও।
প্রসঙ্গত, সারেগামাপা এর বিজেতা হওয়ার পরেই বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল। নেটিজেনদের একাংশ পদ্ম পলাশের নাম ঘোষণা হতেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাঁদের মতে, পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীর ছাত্র বলেই নাকি ইচ্ছা করে জেতানো হয়েছিল তাকে। যোগ্য বিজেতা যদি কেউ হয় তাহলে সেটা অ্যালবার্ট কাবো। এই নিয়ে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা হয় নেটপাড়ায়।
এই বিষয়ে শুরুতে কিছু না বললেও কিছুদিন পর মুখ খুলেছিলেন পদ্ম পলাশ। সারেগামাপা এর মঞ্চে নেপোটিজম নিয়ে তিনি জানান, লক্ষীকান্তপুরের অতি সাধারণ কীর্তনিয়া পরিবারের ছেলে আমি। সাধারণ কীর্তন গানই গাইতাম। জি বাংলার সারেগামাপা আমায় যে সুযোগ করে দিয়েছে তার জন্য আমি খুবই আনন্দিত ও গর্বিত। বিচারকেরা আমায় অনেক ভালোবাসা দিয়েছেন তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ।’
এছাড়া পদ্ম পলাশ আরও বলেন, ২০১৫ সাল থেকেই পন্ডিতজির কাছে গান শিখছি। কিন্তু এর জন্য আলাদাভাবে কোনো সুবিধা পাইনি। এমনকি গুরুজী যে সারাগামাপাতে বিচারক হবেন সেটাও জানতেন না তিনি। এরপর গান ও কীর্তনের প্রসঙ্গে পদ্ম পলাশ বলেন, আমি চাইবো বাংলার ঐতিহ্যবাহী কীর্তনকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে। ভালো কথা ও সুর হলে প্লে-ব্যাক করব ঠিকই, তবে মৌলিক বাংলা গান করার ইচ্ছাও আছে।