আমাদের আশেপাশে এমন অনেক মানুষ রয়েছেন যারা চোখের ধাঁধা কিংবা অপটিক্যাল ইলিউশন (Optical Illusion) সমাধান করতে ভীষণ ভালোবাসেন। এই বিষয়টিকে একটি চ্যালেঞ্জের মতো করে দেখেন তাঁরা। সেই সঙ্গেই এই ধাঁধা নিয়মিত সমাধান করা হলে মস্তিষ্কের কর্মদক্ষতাও বৃদ্ধি পায়। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রায়শয়ই নানান চোখের ধাঁধা ভাইরাল হতে দেখা যায়।
অপটিক্যাল ইলিউশনের ছবিগুলি বাকি আর পাঁচটা ছবির থেকে একটু আলাদা (Difference) হয়। কারণ এটি একপ্রকারের ‘চোখের ধোঁকা’। আর তাতেই অবাক হয়ে যান প্রত্যেকে। চোখের সামনে থাকা জিনিস খুঁজে বের করতেও কালঘাম ছুটে যায় অনেকের। কিন্তু তা সত্ত্বেও নির্ভুলভাবে এগুলি সমাধান করলে পাওয়া যায় মানসিক শান্তি।
এখন সোশ্যাল মিডিয়া একটু ঘাঁটাঘাঁটি করলেই এমন প্রচুর অপটিক্যাল ইলিউশন চোখে পড়ে। সেখানে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নেটিজেনদের কোনও জিনিস খুঁজে বের করতে বলা হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এগুলি এতটাই কঠিন হয় যে অনেকেই হার স্বীকার করতে ব্যর্থ হন। আজকের প্রতিবেদনেও এমনই একটি অপটিক্যাল ইলিউশন তুলে ধরা হল।
গত কয়েকদিন ধরে নেটপাড়া দাপিয়ে বেড়াচ্ছে কিংবদন্তি চিত্রশিল্পী লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির কালজয়ী অঙ্কন মোনালিসার দু’টি ছবি। পাশাপাশি রাখা সেই দুই ছবিকে আপাতদৃষ্টিতে এক মনে হলেও দু’টির মধ্যে রয়েছে বিরাট একটি পার্থক্য। আর সেই পার্থক্য খুঁজতে গিয়েই কালঘাম ছুটে যাচ্ছেন নেটিজেনদের। আপনিও ১০ সেকেন্ড সময় নিয়ে দেখুন তো দু’টি ছবির মধ্যেকার পার্থক্য খুঁজে পান কিনা।
আপনি যদি খুঁজে পেয়ে থাকেন তাহলে আপনার দৃষ্টিশক্তির প্রশংসা করতেই হয়। কিন্তু যদি না পেয়ে থাকেন তাহলে হতাশ কিংবা নিরাশ হওয়ার কিছু নেই। কারণ আমরা দুই ছবির মধ্যেকার সেই পার্থক্য নিরূপণ করে দিচ্ছি। মোনালিসার দু’টি ছবি ভালো করে দেখলে দেখতে পাবেন ছবি দু’টি এক দেখতে হলেও তার মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে একটি পার্থক্য।
বাম পাশের ছবিটিতে রাস্তার পাশে থাকা একটি প্রান্তর সেই পার্থক্য তৈরি করেছে। ভালো করে খেয়াল করে দেখুন, বাম পাশের ছবিতে রাস্তার পাশে একটি প্রান্তর দেখা যাচ্ছে। তবে ডান দিকের ছবিতে সেটি নেই। আমরা বলে দেওয়ার আগেই আপনি যদি এই পার্থক্য খুঁজে পেয়ে থাকেন তাহলে আপনি সত্যি জিনিয়াস। এই বিষয়ে সত্যিই কোনও দ্বিমত নেই।