টেলিভিশন দুনিয়ায় একটা সিরিয়াল শেষ হতে না হতেই শুরু হয়ে যায় নতুন সিরিয়াল। তাই দেখতে গেলে টেলিভিশন দুনিয়ারঅভিনেতা অভিনেত্রীদের হাতে সারা বছরই থাকে ঠাসা কাজ। একটা প্রজেক্ট শেষ হতে না হতেই চলে আসে নতুন প্রজেক্ট আর সেইসাথে নতুন চরিত্র। এই যেমন ‘মিঠাই’ (Mithai) সিরিয়ালের জনপ্রিয় খলনায়ক ওমি আগারওয়াল (Omi Agarwal)। এই মুহূর্তে বাংলা টেলিভিশনে হ্যান্ডসাম হিরো তো অনেকেই আছেন। কিন্তু জন ভাট্টাচার্যের (John Bhattcharya) মতো হ্যান্ডসাম খলনায়কের সংখ্যা প্রায় নেই বললেই চলে।
তাছাড়া একথা কিন্তু সত্যি খলনায়কের চরিত্রে সব সময়ই নানান ধরনের শেড থাকে। তাই অভিনেতাদের কাছে এই ধরনের চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগটা অনেক বেশি থাকে। ইতিমধ্যেই মিঠাইতে শেষ হয়েছে ওমি আগারওয়ালের শয়তানি।মিঠাইতে ইতিমধ্যেই দেখা গিয়েছে এন্ট্রি নেওয়ার পর থেকেই মিঠাই সিদ্ধার্থের জীবনে একের পর এক সমস্যার পাহাড় সৃষ্টি করেছে ওমি আগারওয়াল।
শেষ পর্যন্ত গোটা মনোহরাকে টাইম বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে সে। সাধারণত খলনায়ক মানেই নায়ক নায়িকার সুখের সংসারে কাঁটার মত। তাই সাধারণত এই ধরনের চরিত্রদের মানুষ দু চোখে দেখতে পায় না। তবে ওমি অভিনেতা জন ভট্টচার্য খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করেও কিন্তু দর্শকমহলে পেয়েছেন বিপুল জনপ্ৰিয়তা। একজন অভিনেতার কাছে এর থেকে বড় পাওনা আর কিই বা হতে পারে!
তবে আপাতত মিঠাইতে শেষ হয়ে যাচ্ছে ওমি আগারওয়ালের চরিত্র। আর তাতেই মন খারাপ অসংখ্য অনুরাগীদের। মন ভালো নেই অভিনেতা জন ভট্টাচার্যেরও। এ প্রসঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইনে অভিনেতা জানিয়েছেন যখন তিনি চরিত্রটা পেয়েছিলেন খলনায়কের চরিত্র বলে তখন নাকি তিনি একটু চিন্তায় ছিলেন। কিন্তু পরে তিনি দেখলেন এখনকার দিনে দর্শক খলনায়কদেরও বেশ পছন্দ করছেন।
View this post on Instagram
তবে শেষ দিনের শুটিংয়ে পিস্তলের বারুদে আঙুলে রক্তারক্তি অবস্থা হয়েছিল অভিনেতার। ধস্তাধস্তিতে তিনি নাকি পায়েও বেশ চোট পেয়েছেন। তবে জন সবকিছু সহ্য করেছেন হাসিমুখে। কারণ একজন অভিনেতার কাছে সবকিছুর উপরে পাওনা হলো দর্শকদের ভালোবাসা। তাই এই কষ্টটাও হাসিমুখেই সহ্য করে নিয়েছেন অভিনেতা। তবে মিঠাইতে ওমি আগারওয়ালের পাট চুকে গেলেও জন কিন্তু আবারও পর্দায় ফিরছেন নতুন রূপে। সান বাংলার আসন্ন ধারাবাহিক ‘আলোর ঠিকানা’-য় জনপ্রিয় টেলি অভিনেত্রী দেবাদৃতা বসুর বিপরীতে এবার নায়ক হয়েই ফিরতে চলেছেন জন।