আজকের দিনে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়া(Social Media)। মোবাইল স্ক্রিন স্ক্রোল করার সাথে সাথে প্রতি মুহূর্তেই আসতে থাকে নিত্যনতুন আপডেট। আর মুহূর্তে মধ্যেই সেইসব পোস্টে বয়ে যায় লাইক, কমেন্ট, শেয়ারের বন্যা। এভাবেই নিমেষের মধ্যেই ভাইরাল (Viral) হয়ে যায় একের পর এক আনকোরা পোস্ট।
তাই সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে এখন সবাই ভাইরাল। শুধু সময়ের অপেক্ষা, আনকোরা কিছু চোখে পরলেই হয়। ভাইরাল হতে সময় লাগে না এক মুহুর্তও। সম্প্রতি তেমনই সোশ্যাল মিডিয়ায় হঠাৎ করেই ভাইরাল হয়ে পড়েছে একটি ছবি। এক ঝলক সেই ছবি দেখলে আঁতকে উঠবেন যে কেউ। আসলে সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে এক বয়স্ক মহিলা কে।
তবে ইনি যে সে মহিলা নন। কারণ সবাইকে অবাক করে দিয়ে দাবি করা ছবিতে দেখতে পাওয়া প্রায় কঙ্কালসার ওই বৃদ্ধার বয়স ৩৯৯ বছর। হ্যাঁ ঠিকই পড়ছেন, কিন্তু এও কি সম্ভব! ছবিতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে মহিলার চোখ কোটরে ঢুকে গিয়েছে। শরীরের চামড়া সম্পূর্ণ শুষ্ক হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি দাবি করা হচ্ছে, ইনিই হলেন বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মহিলা!
এই দাবি যদি সত্যি হয় তাহলে তো বলতে হয় চার শতাব্দী ধরে বেঁচে রয়েছেন এই বৃদ্ধা। কিন্তু আদতে তা সম্ভব নয়। পাশাপাশি উঠে এসেছে আরও এক দাবি। অনেকেই বলছেন এই ছবিগুলি আসলে একজন বৌদ্ধ ভিক্ষুকের। তিনি নাকি নিজেকে মমিতে পরিণত করেছেন! কিন্তু ছবিগুলো পরীক্ষা করে জানা গিয়েছে, দুটি খবরই ভুয়ো।
বলা হচ্ছে এই ছবিগুলো একজন বৃদ্ধার হলেও তার বয়স মোটেও ৩৯৯ বছর নয়। এখনও পর্যন্ত মানুষের সর্বোচ্চ বয়স নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫০। জানা যায় লুয়াং ফো আই নামের ওই বৃদ্ধা আসেন একজন বৌদ্ধ ভিক্ষুক। তাঁর আসল বয়স ১০৯ বছর। আদতে তিনি থাইল্যান্ডের বাসিন্দা। বর্তমানে বেশিরভাগ সময় হাসপাতালে কাটালেও এই বয়সেও তিনি তাঁর বেশিরভাগ কাজ নিজেই করেন।