বাংলার ক্যান্সার জয়ী অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা (Aindrila Sharma) এখন অসংখ্য মানুষের অনুপ্রেরণা। মারণ রোগ ক্যান্সারকে (Cancer) হারিয়ে তিনি যেভাবে কামব্যাক (Comeback) করেছেন তার অন্যতম উৎস অভিনেত্রীর আদম্য ইচ্ছাশক্তি আর অফুরন্ত মনের জোর। আর এই গোটা সময়টায় ঐন্দ্রিলার ঢাল হয়ে সর্বক্ষণ পাশে থেকেছেন ঐন্দ্রিলার পরিবারের সকল সদস্য এবং বিশেষ বন্ধু অর্থাৎ টেলি অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরী (Sabyasachi Choudhary)।গত একবছরেরও বেশী সময় ধরে হাসপাতালের বেডে শুয়ে শুয়েই ক্যান্সারের সাথে রীতিমতো পাঞ্জা লড়েছিলেন ঐন্দ্রিলা।
সমস্ত প্রতিকূলতাকে জয় করে অবশেষে গত বছরের ডিসেম্বরেই হাসিমুখে জীবনের মূল স্রোতে ফিরে এসেছেন ঐন্দ্রিলা। সেই থেকেই টেলি-অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মার ক্যানসার জয়ের কাহিনি এখন ঘোরে সকলের মুখে মুখে।তবে লড়াইটা এতটাও সহজ ছিল না অভিনেত্রীর কাছে। অভিনেত্রীর কথায় দীর্ঘ সময় ধরে সেই নরক যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে যাওয়ার সময় তার মনের মধ্যে যে কখনও ডিপ্রেশন শব্দটা আসেনি তেমনটা কিন্তু নয়। কিন্তু বারবার জীবনের মূল স্রোতে ফিরে আসার অদম্য ইচ্ছা আর পরিবার পরিজনদের এবং বন্ধুবান্ধবদের সর্বক্ষণ পাশে থাকা তাকে শক্তি জুগিয়েছে সময়।
এছাড়া যাদের কথা না বললেই নয়, তারা হলেন ঐন্দ্রিলার এই লড়াইয়ের নেপথ্য সৈনিক অর্থাৎ চিকিৎসকরা।সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছেন সেই সময় কেমোথেরাপির সাথে সাথে একটা অপারেশন হয়েছিল তাঁর।কিন্তু সেই অপারেশন করার আগে কিছুটা হলেও দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন তাঁর চিকিৎসক। তাই তিনি অভিনেত্রীকে তিনি সরাসরি জানিয়েছিলেন জীবনটা তার তাই তিনি নিজেই ঠিক করবেন এই অপারেশন তিনি করতে চান কিনা।
কারণ এই অপারেশনের পর একটা বিশাল চান্স রয়েছে যে তিনি আর নাও বাঁচতে পারেন। তাই সিদ্ধান্ত তাকেই নিতে হবে। সেই সময় অভিনেত্রীর মনের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছিল হাজার তা প্রশ্ন। তিনি ভাবছিলেন অনেকটা স্বপ্ন নিয়ে তাঁর কলকাতায় আসা, তাই আর এক মুহূর্তও সময় নষ্ট না করে তিনি জানিয়েছিলেন এই অপারেশন তিনি করবেন। আর যখন তাকে সেই অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তখন তাঁর মনে হচ্ছিল এই যাওয়াই শেষ যাওয়া নয় তো! অপারেশন থিয়েটারের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা বাবা-মা দিদি এবং সব্যসাচীকে দেখে তাঁর মনে হয়েছিল ওদেরকে এই দেখাই শেষ দেখা নয়তো!
কিন্তু না, মিরাক্কেল সত্যিই ঘটে! তাই অপারেশন সাকসেসফুল করে যখন তিনি ফিরে আসলেন তখন তিনি ঠিক করেই নিয়েছিলেন এই লড়াই যখন তিনি জিততে পেরেছেন তাহলে এরপর আর যে পরিস্থিতিই আসুক না কেন তিনি হার মানবেন না। এদিন জীবনের এই কষ্টের কথা জানানোর সময় অঝোরে কেঁদে ফেলেছিলেন অভিনেত্রী। সেইসাথে অভিনেত্রীর কোথায় জানা যায় ২০১৫ সালে ক্লাস ইলেভেনে পড়ার সময় যখন তাঁর প্রথম ক্যান্সার ধরা পড়েছিল তখন নাকি ডাক্তার মেক জানিয়ে দিয়েছিলেন তাঁদের মেয়ের আয়ু আর মাত্র ছয় মাস। তার বেশি নাকি ঐন্দ্রিলার আর বাঁচার আশাই ছিল না