দিন কয়েক আগেও অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন নুসরত জাহান (Nusrat Jahan), তাই তার পক্ষে বাইরে গিয়ে টিকা নেওয়া সম্ভব হয়ে ওঠেনি। আর সঙ্গীকে ফেলে একা একা যশ দাশগুপ্তও (Yash Dasgupta) টিকা নেওয়াটাকে ঠিক মনে করেননি। অবশেষে ঈশানকে জন্ম দেওয়ার ১৬ দিনের মাথাতেই বড় কাজটা সেরে ফেললেন নতুন মা নুসরত। যথারীতি স্বভাবসিদ্ধভাবেই তার পাশে ছিলেন যশ৷
শনিবার বিকেলে কলকাতা পুরসভায় গিয়ে ববি হাকিমের সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূল সাংসদ নুসরত। এরপর সেখানেই কোভিশিল্ডের প্রথম ডোজ নেন ‘যশরত’। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার সময় থেকে আজ পর্যন্ত সর্বক্ষণ নুসরতের পাশে থেকেছেন যশ। একই স্বাস্থ্যকর্মীর কাছ থেকেই এদিন নিজেদের রক্ষাকবজ নিয়েছেন এই চর্চিত জুটি।
তবে এখনও পর্যন্ত নিজেদের একসঙ্গে ছবি শেয়ার করেন না তারা। কিন্তু দুজনে একই সময়, একই জায়গার ছবি শেয়ার করে বরাবরই বুঝিয়ে দেন যে তারা একসাথেই ছিলেন। করোনা ভ্যাকসিন নেওয়ার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে নুসরত লেখেন, ‘দেরি হল, তবে খুব দেরি নয়’। অন্যদিকে যশ কোভিশিল্ডের প্রথম ডোজ নেওয়ার ছবি দিয়ে লেখেন, ‘এবার লোড হচ্ছে আমার বডিতে অ্যান্টি-বডি’।
তবে নুসরতের পোস্ট মানেই দর্শকদের একটাই প্রশ্ন, “ঈশানের বাবা কে”। এবারেও তার অন্যথা হল না। অনেকে তো সরাসরি প্রশ্ন করেছেন, ‘ঈশানের বাবা-মা তবে একসাথেই ভ্যাকসিনেটেড হল দেখছি’। কেউ লিখেছেন, ‘বর-বউ একসঙ্গে টিকা নিতে গিয়েছিল’। এদিকে ইতিমধ্যেই নুসরত সাফ জানিয়ে দিয়েছেন কেবল মাত্র মাতৃ পরিচয়েই বড় হবে তার সন্তান ঈশান।
এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে প্রথমেই নুসরত জানান তিনি এবং তাঁর সন্তান দুজনেই ভালো আছেন। ছেলে হওয়ার আনন্দে ফিগার নিয়ে একেবারেই মাথা ঘামাতে নারাজ নুসরত। এ প্রসঙ্গে সকল গর্ভবতী মহিলাদের পরামর্শ দিয়েছেন আফটার প্রেগন্যান্সি শরীরের পরিবর্তন নিয়ে চিন্তা না করে সকলকেই এই গর্ভাবস্থা চুটিয়ে উপভোগ করা উচিত।