করেই দেখিয়েছেন নুসরত জাহান (Nusrat Jahaan)। সমাজের চোখরাঙানি, পুরুষতন্ত্রের অহং সবকিছুকে ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়ে দাঁতে দাঁত চেপে চালিয়ে গিয়েছিলেন লড়াইটা। শেষমেষ নিজের পরিচয়েই জন্ম দিয়েছেন পুত্র সন্তান ঈশানের (Yishan)। মা হওয়ার আগে থেকেই ব্যাক্তিগত সম্পর্কের জেরে লাগাতার শিরোনামে ছিলেন অভিনেত্রী।
মা হওয়ার পর আজ প্রথম বার সাংবাদিক বৈঠকে হাজির হয়েছিলেন নুসরত। মাটিতে পড়ার আগেই সব প্রশ্নের উত্তরে জবাব দিলেন সপাটে। এদিন ক্যামেরার সামনে আসতেই তাঁর চোখে মুখে স্পষ্ট ফুটে উঠেছে এক অসাধারণ আত্মবিশ্বাসের দ্যুতি। যার কাছে এক নিমেষে ম্লান হয়ে গিয়েছে বস্তা পচা একাধিক বিতর্ক। হারিয়ে গিয়েছে নুসরতের সন্তানের পিতৃ পরিচয় জানার প্রশ্নও। তবে সেই প্রশ্ন দিব্যি এড়িয়ে গিয়েছেন নায়িকা।
এরপর ঈশানকে কবে দেখতে পাবে সবাই এই প্রশ্নের উত্তরে নুসরত জানান, ‘সেটা ঈশানের বাবাই বলতে পারবে। বাবাই আপাতত ঈশানকে সবথেকে বেশি ভালোভাবে সামলাচ্ছে। কাউকেই ঈশানের কাছে ঘেঁষতে দিচ্ছে না কোরোনার জন্য। তবে পরিবারের লোক আর ঈশানের বাবা চাইলেই দেখতে পাবে তাকে’।
এরপর নুসরত বলেন, অভিনেত্রী থেকে সাংসদ সব কিছুর ঊর্ধ্বে উঠে এখন তাঁর অন্যতম পরিচয় তিনি তাঁর সন্তান ঈশানের মা। আজকের দিনে এটাই সবচেয়ে বড় সত্যি। এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে প্রথমেই নুসরত জানান তিনি এবং তাঁর সন্তান দুজনেই ভালো আছেন। ছেলে হওয়ার আনন্দে ফিগার নিয়ে একেবারেই মাথা ঘামাতে নারাজ নুসরত। এ প্রসঙ্গে সকল গর্ভবতী মহিলাদের পরামর্শ দিয়েছেন আফটার প্রেগন্যান্সি শরীরের পরিবর্তন নিয়ে চিন্তা না করে সকলকেই এই গর্ভাবস্থা চুটিয়ে উপভোগ করা উচিত।
তবে আরো কিছু কথা এদিন জানা গিয়েছে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মাঝে। আর পাঁচজন মায়ের মতো ছেলের জন্য রাত জাগছেন তিনিও। তবে এতে বিন্দুমাত্র ক্লান্তি নেই তাঁর, আসলে মা হবার অনুভূতিটাই আলাদা। এরপরেই কাজের প্রসঙ্গে চলে আসেন নুসরত। আর তখনই তিনি জানিয়ে দেন খুব শীঘ্রই সংসদ হিসাবে নিজের দায়ীত্ব পালন করবেন তিনি। তার জন্য খুব শীঘ্রই নিজের এলাকা অর্থাৎ বসিরহাটের মানুষদের কাছেও পৌঁছে যাবেন এই তারকা সংসদ।
অভিনয়ের প্রসঙ্গ উঠতেই নুসরত জানান, এই মুহূর্তে কোনো বড় প্রজেক্টে কাজ করার ইচ্ছ নেই তাঁর। আপাতত ছোটোখাটো কাজের শ্যুটই করতে ইচ্ছুক তিনি। আর শেষে ছোট্ট ঈশানের ডাক নামও জিজ্ঞাসা করে সাংবাদিকেরা। এই প্রশ্নের উত্তরে অভিনেত্রী বলেন, অনেকেই নিজের মত করে ওকে ডাকছে। তবে আমি ওকে ঈশান বলেই ডাকি।