খুশির সময় হোক বা দুঃখে মন ভার সর্বসময়ের সঙ্গী হিসাবে থাকে গান। মন খারাপের সময় গান যেন ম্যাজিকের মত কাজ করে। তাই তো যাদের গান শুনে মুগ্ধ হয়ে যেতে হয় তাদের আজীবন মনে রাখে শ্রোতারা। এমনই বিখ্যাত একজন পাকিস্তানি গায়ক নুসরত ফতেহ আলি খান (Nusrat Fateh Ali Khan)। ৯০ এর দশকে কিংবদন্তি এই গায়ক প্রয়াত হলেও তাঁর তৈরী সুর আজও লক্ষ লক্ষ শ্রোতাকে মুগ্ধ করে।
একসময় ইন্ডাস্ট্রিতে কিংবদন্তি শিল্পীদের দ্বারা দুর্দান্ত সমস্ত গান তৈরী হত। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে অনেকটা বদলেছে সেটা। আজকাল রিমেকের যুগ এসেছে, পুরোনো গানকেই নতুন করে রিমিক্স করা হচ্ছে। ব্যাপক জনপ্রিয়তাও পাচ্ছে। তবে বহু বছর আগেও একগানের থেকে সুর চুরি করে তৈরী করা হত নতুন গান। যেমন ইংরেজি কোনো গানের সুর কিছুটা পরিবর্তন করে তৈরী করা হত বলিউডের জন্য হিন্দি গান।
প্রয়াত ফতেহ আলি খান একবার বলিউডের এই গানের চুরি নিয়ে মুখ খুলেছিলেন। একসময় তাঁর গান চুরি করে অনেকেই বলিউডের গান তৈরী করেছিলেন। তাই সেই সমস্ত সুরকারদের উদ্দেশ্যে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন তিনি এক সাক্ষাৎকারে। সেই সময়েই বলিউড সুরকার অনু মালিক (Anu Malik) ও বিজু শাহরাকে (Biju Shahra) উদেশ্য করে তিনি বলেন, ‘দারুন সুন্দরভাবে গানের নকল করেছে’।
সম্প্রতি ‘bollywooddirect’ নামের একটি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে নুসরত আলি খানের একটি পুরোনো সাক্ষাৎকারের ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে কিংবদন্তি শিল্পীকে। তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়, অনেকেই আপনার গান কপি করেছেন, কিন্তু সবাই তো আর সফল হনন, আপনার মতে সেরা নকল কে করেছে? অর্থাৎ ‘দ্য বেস্ট কপি অ্যাওয়ার্ড’ কাকে তুলে দেওয়া যেতে পারে?
View this post on Instagram
এই প্রশ্নের উত্তরে নুসরত আলি খান জানান, বলিউডের সুরকার অনু মালিক ও বিজু শাহরাকেই এই ‘দ্য বেস্ট কপি অ্যাওয়ার্ড’ দেওয়া যেতে পারে। তবে কোনো রাগ বা বিরক্তি নয় একেবারে শান্তভাবেই এই উত্তর দিয়েছিলেন তিনি। পুরোনো এই সাক্ষাৎকারের ভিডিওটি বর্তমানে আবারও মন কেড়েছে নেটিজেনদের।
প্রসঙ্গত, ওস্তাদ নুসরত আলি খান বর্তমানে আমাদের মধ্যে নেই। ১৯৯৭ সালে মাত্র ৪৮ বছর বয়সে হার্ট অ্যাট্যাক হয়ে মারা যান তিনি। তবে তাঁর গানের মধ্যে দিয়ে আজও কোটি কোটি হৃদয়ে অমর রয়েছেন তিনি।