উৎসবে মাতোয়ারা বাঙালি মেতেছে পুজোর আনন্দে। পুজো মানেই প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ঘোরাঘুরি, দেদার আড্ডা আর জমিয়ে খাওয়া। আর উৎসবমুখর এই পরিবেশকে আরও বেশি আকর্ষণীয় করে তোলে চারপাশের ঝলমলে আলোকসজ্জা। আর পুজো পুজো ফিল আনতে সবথেকে বেশি জরুরি যেটা সেটা হল পুজোর গান(Pujor Gaan) ।
তাই বাঙালির উৎসবের আমেজকে বজায় রাখতে কোনওরকম ফাঁক রাখেননি ইমন চক্রবর্তী (Iman Chakraborty)। একসাথে তিন -তিনটে গান উপহার দিয়েছেন অনুরাগী-শ্রোতাদের। তালিকায় রয়েছে সুরজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ‘রঙ্গবতী’-র আদলে তৈরি একটি ‘আইটেম সং’। পাশাপাশি রয়েছে মিউশিয়ান বর নীলাঞ্জন ঘোষের সঙ্গে জুটি বেঁধে তৈরি ভালবাসার গান ‘ইচ্ছে ডানা’। এছাড়াও ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্তের সুরে ইমনের গাওয়া গান ‘মনে কি পড়ে শ্যামরাই’ গানটিও গেয়েছেন ইমন।
কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় এটাই যে এবছর বেশীরভাগ পুজো প্যান্ডেলে বাজছে পুরনো বাংলা,এবং হিন্দি গান!আর এই বিনয়টাই অবাক করে দিয়েছে জাতীয় পুরস্কার জয়ী শিল্পী ইমন চক্রবর্তীকে, এপ্রসঙ্গে সম্প্রতি তিনি সংবাদমাধ্যমে বলেছেন ‘হইহই করে ‘রঙ্গবতী’ বা ‘প্রাক্তন’-এর গান বাজছে। অথচ একটা পুজোর গান কেউ শুনছেন না! আমি হতবাক। একই সঙ্গে ভীষণ খারাপ লাগছে।’
শুধু তাই নয় ফেসবুকে পুজো কমিটি এবং উদ্যোক্তাদের উদ্দেশে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন শিল্পী। সমস্ত শিল্পীর হয়ে ইমন লিখেছেন, ‘পুজো প্যান্ডেলে নতুন বাংলা গান চালাবেন একটু?’ এই ঘটনায় কার্যত বিস্মিত গায়িকা ইমন। কারণ পুজোর গানগুলো পুজোর প্যান্ডেলে না বাজলেও ইউটিউবে মুক্তি পাওয়ার এক বা দু’দিনের মধ্যে লাখের উপরে দর্শক নতুন গানের ভিডিয়োর।
তাঁর দাবি খুবই স্পষ্ট। তাই এপ্রসঙ্গে তিনি বলেছেন ‘আমরা সমস্ত শিল্পী প্রচণ্ড পরিশ্রম করে পুজোর গান বানিয়েছি। সবাই আশা করেছিলাম, প্যান্ডেলে পা রাখলে কানে আসবে সে সব গান। কোথায় কী?’ তাই তাঁর আশঙ্কা এভাবে চলতে থাকলে বাংলা নতুন গানের ভান্ডার ক্রমশ আরও দীন হয়ে পড়বে!