আট থেকে আশি সকলের কাছেই সুপারস্টার হয়েই রয়ে গিয়েছেন বাংলার তথা গোটা দেশের গর্ব মিঠুন চক্রবর্তী। ছোট্ট শিশু থেকে শুরু করে নবীন, প্রবীন প্রজন্মের পর প্রজন্মজুড়ে আমাদের দেশের অসংখ্য মানুষ মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তীর (Mithun Chakraborty) অন্ধভক্ত। কেরিয়ারের শুরু থেকে আজ পর্যন্ত দীর্ঘ অভিনয় জীবনে তাঁর কঠিন লড়াই অসংখ্য মানুষের অনুপ্রেরণার উৎস।
বাংলা হিন্দি উভয় ইন্ডাস্ট্রিতেই দাপিয়ে কাজ করেছেন অভিনেতা। কেরিয়ারের শুরুর তাঁর সুপার ডুপার হিট ডিস্কো ডান্সার সিনেমা ভক্তদের কাছে আবেগ। এই সিগনেচার স্টেপ আজও হিট। আর সেই কারণেই আজও যখন সকলের প্রিয় মিঠুনদা কোনো রিয়ালিটি শোয়ের মঞ্চে এসে হাজির হয়ে থাকেন, তখন কমবেশি সকলেই তার কাছে ওই সিগনেচার স্টেপ করার অনুরোধ জানান।
এছাড়াও রয়েছে বাংলা হিন্দি উভয় ইন্ডাস্ট্রির একাধিক জনপ্রিয় সংলাপ। মহাগুরুর গলায় সেসব সংলাপ শোনামাত্রই আজও হাততালি পড়ে মুহুর্মুহু। তাই বাংলার গন্ডি ছাড়িয়ে গোটা দেশের সিনেমাপ্রেমীদের কাছে আবেগের আর এক চিরকালীন আবেগের আর এক নাম মিঠুন চক্রবর্তী। তাঁর এক ঝলক পাওয়ার জন্য ভক্তদের পাগলামির অন্তর্ভুক্ত থাকেন। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল এই বর্ষীয়ান অভিনেতার হাসপাতালের বেডে শুয়ে থাকার ছবি।
প্রসঙ্গত এই সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে ইউটিউবার স্যান্ডি সাহা (Sandy Saha) এখন বেশ জনপ্রিয় নাম। একদিন আগেই একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে মিঠুন চক্রবর্তীর হাসপাতালে ভর্তি অবস্থার ছবি শেয়ার করে স্যান্ডি লিখেছিলেন ‘তাঁকে নিয়ে অনেক মিম হয়েছে, এই আমরাই কখনো বলেছি , ‘ও মিঠুনদা একটু নাচুন না’ কিংবা ‘জাত গোখরো’ কিংবা ‘নকশাল টু রং দে তু মোহে গেরুয়া’ ইত্যাদি ইত্যাদি কিন্তু এটা ধ্রুব সত্যি যে তিনিই জাতীয়স্তরের বাণিজ্যিক সিনেমায় প্রথম ও একমাত্র বাঙালি সুপারস্টার।’ সবশেষে তিনি প্রিয় অভিনেতার দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন। সবমিলিয়ে স্যান্ডির ওই পোস্ট দেখে সবাই ভাবতে শুরু করেন মিঠুন চক্রবর্তী খুব অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
কিন্তু স্যান্ডির শেয়ার করা ওই ছবিটি আসলে কিছুদিন আগের। যেখানে মিঠুন চক্রবর্তী পিঠে ব্যথার কারণে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তার দলের নেতা অনুপম হাজরা হাসপাতালে গিয়ে তার আরোগ্য কামনা করে তার যে ছবি তুলেছিলেন সেটাই ওই ভাইরাল ছবি। প্রসঙ্গত পরে হাসপাতাল থেকে ছেড়েও দেওয়া হয় তাকে। তাই না জেনে বুঝে সকলের প্রিয় মিঠুনদা কে নিয়ে এমন একটা পোস্ট করায় সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনরা ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন স্যান্ডির ওপর।