সিরিয়ালপ্রেমী দর্শকদের কাছে দারুণ জনপ্রিয় একটি সিরিয়াল হল ধূলোকণা (Dhulokona)। তারকাখচিত এই সিরিয়ালে নায়ক লালনের চরিত্রে রয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেতা ইন্দ্রাশীষ রায় (Indrashish Roy) । আর নায়িকা ফুলঝুড়ির চরিত্রে দেখা যাচ্ছে অভিনেত্রী মানালি দে (Manali Dey) কে। এই সিরিয়ালের মূল আকর্ষণ তারাই। প্রসঙ্গত শুরু থেকেই কিন্তু এই সিরিয়াল টি আর পি তালিকায় ভালোই স্কোর করছে।
আসলে আজকাল সব সিরিয়ালের ক্ষেত্রে টি আর পিই শেষ কথা। প্রতি সপ্তাহেই বাংলার একাধিক বিনোদন মূলক চ্যানেলের মধ্যে চলতে থাকে টি আরপির লড়াই। আর এই টিআরপি তে এগিয়ে থাকতেই সিরিয়াল গুলোতে অনেক সময় এমন অবাস্তব ঘটনা দেখানো হয় যা দেখে মনে হয় গল্পের গরু গাছে উঠেছে। শুরুতে আলাদা মনে হলেও এখন এই লালন ফুলঝুড়ির ধূলোকণা সিরিয়ালও আর পাঁচটা সিরিয়ালের মতো গতে বাঁধা হয়ে উঠেছে।
বিশেষ করে চড়ুইয়ের একের পর এক শয়তানি আর তার থেকেও বেশি বিরক্তিকর নায়িকা ফুলঝুড়ির ন্যাকামি। ইতিপূর্বে একাধিকবার বিয়ের মন্ডপ অবধি পৌঁছেও শেষ পর্যন্ত নিজেই নিজের বিয়ে ভেস্তে দিয়েছে। আর তার কারণ হিসাবে প্রতিবার এমন এমন অজুহাত খাড়া করে যা দেখে একেবারে গা পিত্তি জ্বলে যায় দর্শকদের। সোশ্যাল মিডিয়ায় সিরিয়ালের ভিডিও গুলিতে নেটিজেনদের করা কমেন্ট দেখলেই বোঝা যায় সহজেই।
কিছুদিন আগেই যেমন লালন ফুলঝুরির বিয়ে পুরো ঠিকঠাক। সবাই মিলে দারুন আয়োজন করে একেবারে ধুমধাম করে বিয়ে দেবে বলে ঠিক করে লালন ফুলঝুড়ির। কিন্তু আবার সেই ফুলঝুড়ির ন্যাকামি। লালনের বাবার অনুরোধ রাখতে নিজে বিয়ের মন্ডপ ছেড়ে উঠে গিয়ে চড়ুইয়ের সাথে লালনের বিয়েটা হতে দেয়। যার কোনোকিছু ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি লালন। অজান্তেই এক ভয়ঙ্কর প্রতারণার শিকার হয় সে। পরে সবটা জেনেও সে ফুলঝুড়িকে বিয়ে করতে চেয়েছিল। কিন্তু নাটক করে এবারও বিয়ের মন্ডপ ছেড়ে আসে ফুলঝুড়ি।
ইতিমধ্যেই ওই বিয়ের মন্ডপে জানাজানি হয়ে যায় ছোটো মামু আর পরমাই হল ফুলঝুড়ির আসল বাবা মা। তাদেরকেও নিজের বাবা মা বলে মেনে নিতে অস্বীকার করে ফুলঝুড়ি। পরে বড়মামির অভিশাপের কথা শুনে লালনের সাথে জোর করে বস্তির বাইরে দেখা করে আসে। এরইমধ্যে এসেছে সিরিয়ালের একটি নতুন ভিডিও। সেখানে দেখা যাচ্ছে সমস্ত ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতে ফুলঝুড়ি তার আসল বাবার সামনে বলে যে দিকে দুচোখ যাবে সে দিকে চলে যাবে সে। তখনই বুলেট নিজের মেয়ের গালে বাবা হওয়ার অধিকারে চড় কষিয়ে দেয়। এতদিনে ফুলঝুড়ি কে চড় মারতে দেখে ভীষণ খুশি হয়েছেন নেটিজেনদের একটা বড় অংশ। সকলেই বলতে শুরু করেন এই ফুলঝুড়ির ন্যাকামি সহ্য হচ্ছে না। এই চড় অনেকদিন আগেই মারা উচিত ছিল ইত্যাদি।