বাংলা সিরিয়াল (Bengali Serial) মানেই পরকীয়া (Extramarital Relation)।বিশেষ করে স্টার জলসার জনপ্রিয় লেখিকা লীনা গাঙ্গুলীর সিরিয়াল মানেই তো পরকীয়ার আঁতুর ঘর। এই লেখিকার বেশিরভাগ সিরিয়ালেই দেখা যায় নায়ক-নায়িকার একাধিক সম্পর্কে জড়িয়ে থাকার গল্প। এমনকি বিয়ের পরেও নায়ক নায়িকা কে নতুন সম্পর্কে জড়াতে দেখা দিয়েছে একাধিক সিরিয়ালে।
যার ফলে সমাজের প্রতি যে ভালো বার্তা যাচ্ছে না সে কথা এক বাক্যে স্বীকার করবেন যে কেউ। ইতিপূর্বে একাধিকবার এই ধরনের গল্পের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হয়েছেন বাংলা সিরিয়ালপ্রেমী দর্শকদের একাংশ। এই মুহূর্তে স্টার জলসার অন্যতম দুটি জনপ্রিয় সিরিয়াল হল ‘গুড্ডি’ এবং ‘ধুলোকণা’। এই দুই সিরিয়ালের নায়ক অনুজ এবং লালন। তাদের দুজনের জীবনটাই যেন একই খাতে বইছে।
বিয়ের পরেও দুজনেরই সম্পর্ক অন্য দুই মেয়ের সাথে। শুরুতে নারী ক্ষমতায়নের প্রতি জোর দেওয়া হলেও গল্প এগোনোর সাথে সাথে সিরিয়ালে এসেছে পরকীয়া। একদিকে গুড্ডিতে প্রথমে দেখা গিয়েছিল শিরিনকে ভালবাসলেও পরিস্থিতির চাপে একসময় গুড্ডিকে বিয়ে করেছিল অনুজ। কিন্তু তখন সে গুড্ডিকে একেবারেই পছন্দ করত। তাই যে করেই হোক গুড্ডির সাথে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছিল সে। তাই পরবর্তীতে দেখা যায় গুড্ডি সাথে বিয়ে ভেঙে দিয়ে শিরিনের সাথে বিয়ে করেছে।
অনুজ কিন্তু সেই বিয়েতেও শান্তি পায়নি। তাই শিরিনের সাথে বিয়ে করলেও অনুজ দুর্বল হয়ে পড়ে গুড্ডির ওপরে। ইতিমধ্যেই সে রাতও কাটিয়েছে গুড্ডির সাথে। আর এই মুহূর্তে ধূলোকণায় দেখা যাচ্ছে একসময় যে ফুলঝুরিকে চোখে হারাতো লালন, এখন মানসিক অসুস্থতার দোহাই দিয়ে সেই ফুলঝুরিকে ডিভোর্স দিয়ে তিতিরের সাথেই সংসার বাঁধতে চাইছে সে।
যার ফলে এখন স্টার জলসার এই দুই সিরিয়ালে পরকীয়াই হয়ে উঠেছে মূল অস্ত্র।যা দেখে রীতিমতো বিরক্ত দর্শকদের একাংশ। বিষয়টি একেবারে কেউই ভালো চোখে দেখছে না। তাই কথা শোনাতে ছাড়েননি লেখিকা লীনা গাঙ্গুলীকে। এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনদের একাংশের দাবি আসলে স্টার জলসার নায়কদের মন খুব বড়, তাই তারা কখনও কোন মেয়েদেরই ফেরায় না। আবার কটাক্ষ করে একজন লিখেছেন ‘লালন অনুজ ভাই ভাই, দুই বৌকেই কাছে চাই’!